সন্দ্বীপে মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণে শিক্ষকের যাবজ্জীবন

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১১ আগস্ট, ২০২৩ at ৯:৩০ পূর্বাহ্ণ

সন্দ্বীপের মগধরা এলাকায় ১ম শ্রেণী পড়ুয়া মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষক হলেন, সন্দ্বীপের হারামিয়া ইউনিয়নের হারামিয়া এলাকার মৃত আবুল কালাম ওরফে ফখরের ছেলে আবু তাহের ওরফে শিপন। তিনি অত্র এলাকার তালিমুল ইসলাম নুরানি মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। গতকাল চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল৩ এর বিচারক জয়নাল আবেদীন এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষক আবু তাহের কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ট্রাইব্যুনালের পিপি জিকো বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে বিচারক রায় ঘোষণা করেছেন। রায়ে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি আবু তাহের ওরফে শিপনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ৯ জুন ১ম শ্রেণী পড়ুয়া সাত বছর বয়সী মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে শিক্ষক আবু তাহেরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার এজহারে বলা হয়, ভিকটিম মাদ্রাসা ছাত্রী পরীক্ষা শেষে ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু সেদিন ভাই আসতে পারেনি। একপর্যায়ে একা পেয়ে মাদ্রাসা ছাত্রীকে অফিস কক্ষে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন এবং কাউকে কিছু না বলার জন্য ভয় দেখান শিক্ষক তাহের। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়। আদালত সূত্র আরো জানায়, ২০২১ সালের শেষের দিকে শিক্ষক আবু তাহেরের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। পরের বছরের ২০ এপ্রিল তদন্ত কর্মকর্তার দেয়া চার্জশিট আমলে নিয়ে শিক্ষক আবু তাহেরের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাকিবের কারণেই বিলম্ব হচ্ছে অধিনায়কের নাম ঘোষণা
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো বসছে একাডেমি কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট