সশস্ত্র দু’গ্রুপের গোলাগুলি রুমায় অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

আধিপত্য বিস্তারের জের

বান্দরবান প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২৮ এপ্রিল, ২০২৩ at ৫:৩৮ পূর্বাহ্ণ

আধিপত্যের জেরে বান্দরবানের রুমায় পাহাড়ি দুই সশস্ত্র সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলিতে নিহত একজনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানায়, পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চীন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) এবং ইউপিডিএফের (গণতান্ত্রিক) মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। বুধবার রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। দু’পক্ষের গোলাগুলিতে কয়েকজন আহত এবং একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যৌথ বাহিনী একজনের মৃতদেহ দেখতে পায়। বৃহস্পতিবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খুঁড়ে একজনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেন। নিহতের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, গোলাগুলিতে নিহত ব্যক্তিকে মাটি চাপা দেওয়া হয়।

স্থানীয়দের জানান, বন্দুকযুদ্ধে রামথাং বম নামের একজন মারা গিয়েছিল বলে তারা শুনেছেন। তার বাড়ি রোয়াংছড়ি উপজেলার পাইখ্যং পাড়ায়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, পাহাড়ে সশস্ত্র দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাস্থল থেকে মাটি চাপা দেওয়া একজনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রামথাং বম নামের একজনের মৃত্যুর কথা শোনা গেলেও উদ্ধার হওয়া লাশটি তার কিনা নিশ্চিত নয়। ময়না তদন্তের পর ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। গোলাগুলির ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।এদিকে কুকি চীন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) ও ইউপিডিএফের (গণতান্ত্রিক) মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কয়েকদিন ধরে গোলাগুলির ঘটনায় মুয়ালপি পাড়াসহ আশপাশের এলাকায় গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বেশ কয়েকটি পাড়া পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ৭ এপ্রিল রোয়াংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের খামতান পাড়া এলাকায় কুকি চীন ন্যাশনাল আর্মির সাথে অস্ত্রধারী আরেকটি গ্রুপের গোলাগুলিতে ৮ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে সাতজনই কেএনএ সংগঠনের সাথে জড়িত ছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমঙ্গল আর পৃথিবীর পার্থক্য কোথায়
পরবর্তী নিবন্ধরাউজানের নোয়াপাড়ায় স্কুল শিক্ষিকার আত্মহত্যা