নগরের ৩৮ নং দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডের সল্টগোলা রেলক্রসিং সংলগ্ন মাঠে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ইজারা দেয়া একটি অস্থায়ী পশুর হাট বন্ধের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা। তাদের দাবি, ঘনবসতিপূর্ণ ওই এলাকায় হাটটি চালু থাকলে যানজটসহ নানা ভোগান্তি হবে তাদের।
হাটটি বন্ধের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার সিএমপির উপ–পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক বন্দর) বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন স্থানীয়রা। তবে এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পাননি বলে জানিয়েছেন চসিকের রাজস্ব বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্র্তারা। চসিক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ এপ্রিল ১৬টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়। এরপ্রেক্ষিতে ২২ মে সিএমপির উপ–পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক বন্দর) সিটি স্পেশাল ব্রাঞ্চের বিশেষ পুলিশ সুপারের কাছে একটি প্রতিবেদন দেয়। এতে অস্থায়ী পশুর হাটটি বসানোর অনুমতি প্রদান না করার জন্য সুপারিশ করা হয়। এদিকে মো. আবু ছালেহ জুয়েল নামে এক ব্যক্তি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন বরাবর সল্টগোলা রেলক্রসিংয়ে তাদের নিজস্ব জায়গায় বাজার বসানোর অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন অনুমতি দিলে চসিক অস্থায়ী পশুর হাটটির জন্য ইজারাদার বাছাই করে। চসিকের স্টেট অফিসার মো. কামরুল ইসলাম চৌধুরী আজাদীকে জানান, বাজারটির জন্য ইজারাদার চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এদিকে ইজারাদার নিয়োগের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর গতকাল স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল নূর, নেজাম, শাহনেওয়াজ, মো. সাহাবউদ্দিন ও মো. মোস্তফা অস্থায়ী পশুর হাটটি বন্ধের দাবিতে সিএমপির উপ–পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক বন্দর) বরাবর লিখিত আবেদন করেন।
এতে বলা হয়, তারা সল্টগোলা রেলক্রসিং এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। ৩৮ নং দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডের পূর্ব পাশে বন্দর, পশ্চিম পাশে সিইপিজেড শিল্প কারখানা হওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ উক্ত দুই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। এতে স্থায়ী এবং অস্থায়ী বাসিন্দা মিলে তাদের এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ। এছাড়া ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় এবং বন্দর, সিইপিজেড, সিপিএআর গেইটে মালামাল লোডিং আনলোডিং এর কারণে প্রতিনিয়ত যানযট লেগে থাকে সেখানে। এতে ভোগান্তি হয়। তারা পারিপার্শ্বিক দিক বিবেচনা করে সল্টগোলা রেলক্রসিং অস্থায়ী পশুর হাটটি বন্ধের দাবি জানান। এতে বন্দর, সিইপিজেড শিল্প কারখানা যেমন যানযট ও ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে তেমনি এলাকাবাসী পরিবেশ দূষণ থেকেও রক্ষা পাবে বলে দাবি করেন তারা।