সরিয়ে নিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিনই সড়ক বাতির পোলে তার স্থাপন

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৩০ জুন, ২০২২ at ৫:৫০ পূর্বাহ্ণ

দুর্ঘটনারোধে নগরের বিভিন্ন সড়ক বাতির পোলে থাকা ওভারহেড ক্যাবল বা ঝুলন্তভাবে থাকা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট, কেবল টিভি নেটওয়ার্কের (ডিশ সংযোগ) তার এবং জেনারেটর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তার অপসারণে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সিটি কর্পোরেশনের। গতকাল বুধবার জারিকৃত এ বিজ্ঞপ্তিতে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তার সরিয়ে নিতে বলা হয়। নির্ধারিত সময়ের পর চসিক আইনগত ব্যবস্থা নিবে বলেও উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। তবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিনই নগরের ঘাটফরহাদবেগসহ বিভিন্ন স্থানে ডিশ সংযোগের তার স্থাপন করতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় চসিকের উদ্যোগ কতটা কার্যকর হচ্ছে সে প্রশ্ন উঠেছে।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম শহরের প্রায় দুই লাখ ব্রডব্যান্ড গ্রহক এবং কমপক্ষে আরো ১৫ লাখ ক্যাবল টিভি গ্রাহক রয়েছে। অবশ্য প্রায় দুই বছর আগে ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এমন উদ্যেগ নিলেও ‘ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ (আইএসপিএবি) ও ক্যাবল নেটওয়ার্ক অপারেটরগুলোর সংগঠন ‘ক্যাবল অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ (কোয়াব) আপত্তি জানায়।

পরে সংগঠন দুুটি ‘প্রতীকী ধর্মঘট’ আহ্বান করে চট্টগ্রামসহ সারা দেশে একই বছরের ১৮ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ও ডিশ সংযোগ সেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়। এতে ব্যাংক-বীমা খাত থেকে শুরু করে ইন্টারনেট নির্ভর প্রতিটি বাণিজ্যিক সেক্টরই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্ট সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জাব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক।

পরে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে একটি চিঠি দেন। এরপ্রেক্ষিতে ঢাকার দুটি সিটি কর্পোরেশনকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিয়ে তার না কাটতে বলা হয়।

এদিকে চসিকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন সড়কে স্থাপিত অত্যাধুনিক (সার্ভার মনিটরিং সিস্টেম) এলইডি সড়ক বাতির পোল ব্যবহার করে বিভিন্ন ইন্টারনেট, ডিস, জেনারেটর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের সংযোগ লাইন দ্বারা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। যাহা বেআইনি ও আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এতে সড়ক বাতির বৈদ্যুতিক সংযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন ও শর্ট সার্কিটের মতো দুর্ঘটনা ঘটে বাতি নষ্টসহ ও সার্ভারের অপারেশন ও মনিটরিং কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। অতিরিক্ত তারের কারণে সড়ক বাতির জন্য স্থাপিত পোল হেলে ভেঙ্গে পড়ার কারণে প্রাণহানির আশঙ্কাসহ জনসাধারণের জানমালের ক্ষতি হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১৫ (পনের) কার্যদিবসের মধ্যে সিটি কর্পোরেশনের সড়ক বাতির পোল হতে ইন্টারনেট, ডিস, জেনারেটর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকগণ তাদের সংযোগ লাইনসমূহ অপসারণের জন্য অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় নির্ধারিত সময়ের পর সংযোগ লাইনসমূহ কর্তনসহ চসিক আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়ে জানার জন্য চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ঝুলন কুমার দাশের মোবাইলে কল করলেও রিসিভ করেন নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমহেশখালী-কক্সবাজার রুটে আসছে ‘পদ্মার ফেরি’
পরবর্তী নিবন্ধনির্ধারিত দরে মিলে না ডলার