সরাইপাড়া ও পাহাড়তলীতে নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় দুই মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৯ জানুয়ারি, ২০২১ at ৬:৩৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১২নং সরাইপাড়া ওয়ার্ড ও ১৩নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডে নির্বাচনী সহিংসতায় দুজন নিহতের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। তবে এ দুটি ঘটনায় আসামিদের কেউ এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।
পাহাড়তলী ওয়ার্ডে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আলাউদ্দিন নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন তার বোন জাহানারা বেগম। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানায় এই মামলা দায়ের করা হয় বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রেলওয়ে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সোহরাব হোসেন। তিনি বলেন, আলাউদ্দিন নিহতের ঘটনায় তার বোন জাহানারা বেগম বাদী হয়ে ৯ আসামির নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি আছে আরো ১৫/২০ জন।
মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা হলো, মো. নাছির, সাইদুল ইসলাম, জজ মিয়া, আক্তার, মো. বিল্লাল, মো. সাজু, মো. হেলাল, নাছির ওরফে কালা নাছির ও মো. ইমন। তিনি বলেন, মামলার তদন্তে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, সবাইকে আসামি করা হবে।
গত ২৭ জানুয়ারি বুধবার সকালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ইউসেফ আমবাগান টেকনিক্যাল স্কুল ভোট কেন্দ্রের সামনে সংঘর্ষ হয়। পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ওই ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী এবং বিদ্রোহী প্রার্থী মাহামুদুর রহমানের সমর্থকরা এই সংঘর্ষে জড়ান। এ সময় এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ধাওয়া দিলে কেন্দ্রের বাইরে ভোট দিতে অপেক্ষায় থাকা লোকজন ছোটাছুটি করতে থাকেন। আতঙ্কিত হয়ে আলাউদ্দিনও দৌড়ে পালাতে গেলে তার পেটে গুলি লাগে। পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে চসিক নির্বাচনের শুরুতেই পাহাড়তলীর ১২ নম্বর সরাইপাড়া এলাকায় ছুরিকাঘাতে খুন হন নেজাম উদ্দিন মুন্না (৩০)। তিনি আপন বড় ভাই সালাউদ্দিন কামরুলের (৪০) হাতেই ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। ঘাতক ভাই আওয়ামী লীগের দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মী আর নিহত জন বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী ছিলেন। পাহাড়তলী থানা পুলিশ বলছে, নেজাম উদ্দিন মুন্না খুনের ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত একমাত্র আসামি কামরুল পলাতক রয়েছে। তাকে ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে। ঘটনায় নিহত ও পলাতক আসামির মা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। পাহাড়তলী থানার ওসি হাসান ইমাম আজাদীকে বলেন, ছোট ভাই মুন্নাকে খুন করেই এলাকা থেকে পালিয়েছেন কামরুল। বর্তমানে তাকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। সে অনুযায়ী সম্ভাব্য সব জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে। খুব দ্রুত আমরা তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুই বছর পর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে বিদেশি দলের ক্রিকেট ম্যাচ
পরবর্তী নিবন্ধ‘আপনার জন্য যা বর্র্জ্য, অন্যের জন্য তাই হতে পারে সম্পদ’