সরকার বিএনপির ভয়ে ভীত : মোশাররফ

| শনিবার , ২১ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৮:১৬ পূর্বাহ্ণ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আজকে যারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় রয়েছে; তারা জিয়াউর রহমানকে, জিয়াউর রহমানের পরিবারকে এবং তার প্রতিষ্ঠিত দলকে ভয় পায়। তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে সরকারকে বিদায় করার কোনো বিকল্প নেই।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

. মোশাররফ বলেন, সরকারকে বিদায় করার জন্য আমরা ১০ দফা কর্মসূচি দিয়েছি। একটি পরিবর্তন হবে, পরিবর্তন যাতে একই রকম না হয়, যাতে একটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ গঠিত হয় সেজন্য রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে ২৭ দফা ঘোষণা করা হয়েছে।

পেশাজীবীদেরকে সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন আপনাদের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং অবদানের মাধ্যমে দেশের জনগণের প্রত্যাশা এ সরকারকে বিদায় করে বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফা রূপরেখার ভিত্তিতে বাংলাদেশ নির্মাণ করি।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে অনেক বড় বড় নেতা রয়েছে যার প্রশংসা করতে করতে বর্তমানে সরকার পাগল হয়ে যায়। কিন্তু যদি জিজ্ঞেস করেন যে নেতার জন্য এত বন্দনা তার সর্বশেষ রাজনৈতিক দর্শন কি? গণতন্ত্র হত্যা, বাকশাল প্রতিষ্ঠা; অস্বীকার করতে পারবে? এখন পদ্মা সেতু তৈরি ও যমুনা সেতু তৈরি হবে এটা নাকি তার স্বপ্ন ছিল। রাজনৈতিক দর্শন গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা এসব কথা তারা বলে না, আমরাও বলতে চাই না। এসব জনগণ বিচার করবে।

তিনি বলেন, আমরা গণসমাবেশ করেছি শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিকভাবে। এদেশের মানুষ আওয়াজ তুলেছে তারা গণতন্ত্র হত্যাকারীদের আর ভোট দেবে না। যারা দেশের অর্থনীতিকে লুটপাট করে বিদেশে টাকা পাচার করে ধ্বংস করে দিয়েছে তারা অর্থনীতিকে মেরামত করতে পারবে না। যারা দেশের বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ধ্বংস করেছে তারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে পারবে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, তারা যেখানে (আওয়ামী লীগ) গণতন্ত্র হত্যা করেছিল, সেখানে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এরশাদ যেখানে গণতন্ত্র হত্যা করেছিল সেখানে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া এরশাদের পতন ঘটিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেজন্য সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংযুক্ত করেছিলেন।

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, সাংবাদিক কবি আব্দুল হাই শিকদার, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. আব্দুল কুদ্দুস, ড্যাব নেতা ডা. সিরাজউদ্দীন আহমেদ, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, পেশাজীবী নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, জাসাস নেতা চিত্রনায়ক আশরাফ উদ্দিন উজ্জল ও ড্যাব নেতা ডা. আজিজুল হক, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেপ্তার আলভেস
পরবর্তী নিবন্ধবিদেশিদের ফরমায়েসে বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলবে না : কাদের