সরকার নির্যাতন করে আন্দোলন দমন করতে চায়

গায়েবানা জানাজায় ডা. শাহাদাত

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ

নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে আমার ভাইয়ের রক্ত ঝরেছে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ গুলিবর্ষণ করেছে। আমরা শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দিতে পারি না। তাদের এই আত্মত্যাগকে ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে আরও বেগবান হয়ে এ সরকারকে পরাজিত করতে হবে।
নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত যুবদলকর্মী মো. শাওনের গায়েবানা জানাজায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। গতকাল শুক্রবার বাদে জুমা নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে শাওনের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মহানগর ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা শহীদুল্লাহ চিশতী।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ দিয়ে গুলিবর্ষণ করে এই ফ্যাসিবাদী সরকার জানান দিয়েছে, তারা নির্যাতন করে আন্দোলন দমন করতে চায়। ভোলায় আবদুর রহিম, নুরে আলম ও নারায়ণগঞ্জে শাওনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে- এ দেশের মানুষ ফ্যাসিবাদী সরকারের দমন নিপীড়নকে ভয় করে না। রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে হলেও তারা এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করবে।
নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা, আবারো বিনা ভোটে সরকার গঠন করা এবং জনগণের ন্যায্য দাবিগুলো পদদলিত করার লক্ষেই নারায়ণগঞ্জে সমাবেশে হামলা করা হয়েছে। ভোলা ও নারায়ণগঞ্জের হত্যার ঘটনা সরকারের ধারাবাহিক অমানবিক নিপীড়ন নির্যাতনেরই বর্ধিত প্রকাশ।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিংসহ জনদুর্ভোগের বিষয় এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শোভাযাত্রায় পুলিশ গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। এটা একটা বড় ধরনের ঘটনা। এরসঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। জনসাধারণকে এরকম হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্ছার হয়ে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানাচ্ছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী বেলাল উদ্দিন, ইসকান্দার মির্জা, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, নূর মোহাম্মদ, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, ইঞ্জি. বেলায়েত হোসেন, কাজী সালাউদ্দিন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, জসিম উদ্দিন শিকদার, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্‌জুর আলম চৌধুরী মন্‌জু, মো. কামরুল ইসলাম, আব্দুল আউয়াল চৌধুরী, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান মো. জসিম, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ চৌধুরী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশেখ রাসেল ছোটোদের বইমেলায় অংশগ্রহণেচ্ছুদের জ্ঞাতার্থে
পরবর্তী নিবন্ধপটিয়ায় কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ