রাষ্ট্রীয় ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে সরকার পরিচালন বাজেট বরাদ্দ থেকে ভূমি অধিগ্রহণ, ভবন ও স্থাপনার নতুন ক্রয়াদেশ এবং যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম কেনা পুরোপুরি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ, রাষ্ট্রমালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নতুন সিদ্ধান্তটি প্রযোজ্য হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের বাজেট অনুবিভাগ গত মঙ্গলবার এ ব্যাপারে একটি পরিপত্র জারি করেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান স্বাক্ষরিত পরিপত্রটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে। খবর বাসসের। পরিপত্রে বলা হয়, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সরকারি ব্যয় কমাতে জন্য অর্থ বিভাগ ইতোপূর্বে জারি করা স্মারক ও পরিপত্রের অনুবৃত্তিক্রমে ২০২২-২৩ অর্থবছরে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়াত্ত্ব, সংবিধিবদ্ধ, রাষ্ট্র মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বাজেট বরাদ্দ থেকে তিনটি খাতে অর্থ ব্যয় স্থগিত বা হ্রাস করার বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে- পরিচালন বাজেটের অধীন ভূমি অধিগ্রহণ খাতে বরাদ্দ থাকা অর্থ ব্যয় সম্পূর্ণরুপে বন্ধ থাকবে। একইভাবে ভবন ও স্থাপনা খাতে বরাদ্দ করা অর্থের বিপরীতে নতুন কোনো কার্যাদেশ দেওয়া যাবে না। এর আগে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে, এমন ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দের ৫০ শতাংশের বেশি ব্যয় করা যাবে না। এছাড়া, যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি খাতে বরাদ্দ থাকা অর্থ ব্যয়ও পুরোপুরি স্থগিত থাকবে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, পরিচালন বাজেটের ভূমি অধিগ্রহণ, ভবন ও স্থাপনা এবং যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি খাতে বরাদ্দ করা অর্থ অন্য কোনো খাতে ব্যয় করা যাবে না। এমনকি অন্য কোনো খাত থেকেও এসব খাতে অর্থ আনা যাবে না। চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে সরকার ইতোমধ্যে ব্যয় কমাতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গত জুলাই থেকে সরকার উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ কাটছাঁট করছে। তখন সিদ্ধান্ত হয়, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে কিছু প্রকল্পে কোনো অর্থ ছাড় দেওয়া হবে না। আবার কিছু প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ ২৫ শতাংশ কম দেওয়া হবে।