সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি : লটারি নাকি ভর্তি পরীক্ষা?

ইসতিয়াক আল মাহমুদ | সোমবার , ৩ নভেম্বর, ২০২৫ at ৮:৩০ পূর্বাহ্ণ

আসছে নতুন বছর ২০২৬। শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে অনেক অভিভাবক তার সন্তানের জন্য সরকারি স্কুলে ভর্তির চিন্তা করেন। কিন্তু একটি সাধারণ সমস্যা এই ভর্তির ক্ষেত্রে প্রতীয়মান হয়ে থাকে যে শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে কোন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা উচিত লটারি প্রক্রিয়া নাকি লিখিত পরীক্ষা? এই প্রশ্নে অভিভাবক,শিক্ষক সকলে দুই ভাগে বিভক্ত; কেউ চান ভর্তি পরীক্ষা, কেউ লটারি। দুটি প্রক্রিয়ারই ভালোমন্দ দিক রয়েছে।

ভর্তি পরীক্ষা হলে শুধুমাত্র মেধাবী শিক্ষার্থীরাই ভালো সরকারি বিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে, অন্যদিকে ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন সাধারণ গড়পড়তা মেধার শিক্ষার্থী পড়াশোনার সুযোগ পেলে হয়তো তার মেধাও অন্যান্য মেধাবীদের মতো পরিস্ফুটিত হবে।

আবার লটারি হলে হয়তো অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী ইচ্ছা থাকা সত্বেও তার কাঙ্খিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করার সুযোগ পাবেনা যার ফলে সে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়তে পারে এবং তার পড়াশোনার প্রতি একধরনের বিতৃষ্ণা জন্মানো ও অস্বাভাবিক কিছু নয়।

আবার আরেকটি বিষয় হলো সকল সরকারি বিদ্যালয়ে সকল শ্রেণীতে কিন্তু ভর্তি করানো হয়না, কিছু নির্ধারিত শ্রেণীতে ভর্তি নেয়া হয়। তাই সরকারি ভাবে বিভিন্ন সরকারি বিদ্যালয়ে কিছু আসন বর্ধিত করে হলেও সকল শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ করে দেয়া উচিত। আর ভর্তি প্রক্রিয়ার কথা যদি বলতে হয় তবে লটারি ও লিখিত পরীক্ষার একটি সমন্বয় করা যেতে পারে যাতে মেধাবী বা সাধারণ মেধা সকল শিক্ষর্থীরই ভর্তির সুযোগ থাকে।

যদি ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীতে যদি ভর্তির জন্য ৬০০ আসন বরাদ্দ থাকে তবে ৩০০ আসনের জন্য লটারি এবং বাকি ৩০০ আসনের জন্য লিখিত পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে। তাহলে সকলের জন্যই সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত থাকবে। আশা করি সংশ্লিষ্ট মহল এই ব্যাপারটা বিশেষভাবে বিবেচনায় আনবেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমা হোক প্রকৃতির মতো
পরবর্তী নিবন্ধএকজন শিক্ষকের স্বীকারোক্তি