সমাজ ও রাষ্ট্রের তৃতীয় নয়ন গণমাধ্যম। আমরা কি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের সে ভুমিকা দেখতে পায়? গণমাধ্যমের একাল-সেকাল নিয়ে নানা মত থাকবে স্বাভাবিক। তারপরও সত্য পাঠে বলতে হয়, আমাদের গণমাধ্যম পাঠক শ্রোতা ও সুধী মহলকে রীতিমত বঞ্চিত করে যাচ্ছে। সুস্থ ও সাবলীল ধারা ব্যাহত করছে যা স্বাধীন দেশে মোটেও শুভকর নয়। সঙ্গত কারণে বিটিভি নিয়ে বলি, চট্টগ্রাম বিটিভির শানে নযুল পর্যালোচনা স্পষ্টত্ব প্রতীয়মান। ব্যবস্থাপনা পরিষদ চিহ্নিত স্বজন বিলাসে তুষ্ট, দায়িত্বের জায়গাটিও দায়সারা গোছের। মান নয়, মিছে মনোরঞ্জনে একঘেয়েমী সম্প্রচার। গৎ বাঁধা অনুষ্ঠান ও সংবাদ দেখে মনে হয়, বিটিভি অন্য জগতের। প্রাইভেট চ্যানেলের গুণগত দিক দৃষ্টি ধারনের মানসিকতা ও ব্যবস্থাপনা ও পরিচালকদের আছে বলে মনে হয় না। না জানি কোন সূতার টানে এমন অসুরীয় বন্দনা। বিজ্ঞজনরা রাষ্টের তৃতীয় নয়নের মান বৃদ্ধিতে ঔদার্য্যময় ও ধৈর্যশীল হতে আর কত অপেক্ষার কাল বহিতে বলবেন? বিটিভি কারো ব্যক্তিগত বাক্স নয়, জনগণের ট্যাক্সে সরকার কর্তৃক পরিচালিত। তাই জন, মান, গণ ও প্রকৃতি সোঁদা গন্ধে তুলে ধরুক সমসাময়িক অনুষ্ঠান ও প্রতিবেদন। মুক্তিযুদ্ধের সাহসী পদচারণায় রচিত চরিত ও বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন। প্লীজ, তাকে আর অবার্চীন গৃহে আবদ্ধ রাখবেন না। জনতা শক্তিতে পরিস্ফুটন ঘটিয়ে প্রমাণ করুন গণমাধ্যম বিশ্ব পরিমণ্ডলের সাথে সম্যক উপাদানে উপজীবী-শক্তিশালী শৈলী।