সম্মেলনের বছর পার, দেখা নেই কমিটির

সম্ভাব্য পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে হতাশা

শুকলাল দাশ | মঙ্গলবার , ১১ এপ্রিল, ২০২৩ at ৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সম্মেলনের প্রায় ১ বছর পার হতে চললেও এখনো পর্যন্ত কমিটি দিতে পারছে না কেন্দ্রীয় কমিটি। বিশেষ করে দুই শীর্ষ পদের (সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক) জন্য নগর রাজনীতির নানা জটিল সমীকরণ মিলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতাদের। মন্ত্রী থেকে শুরু করে দলের শীর্ষ নেতাদের চাপ এবং প্রভাবে কোনো ধরনের হিসাব মেলাতে পারছে কেন্দ্রীয় কমিটি।

চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের সম্মেলন হয়েছে গত বছরের ৩০ মে। এখন ১১ মাস চলছে। ইতোমধ্যে নানা ধরনের সমীকরণ মিলিয়ে প্রথমে দক্ষিণ জেলা যুবলীগের কমিটি ঘোষণা করার পরপরই দুই সহ সভাপতি সাথে পদত্যাগ করেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুইজনই দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ থেকে। এই নিয়ে সমলোচনার মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় কমিটি। এরপর উত্তর জেলা যুবলীগের কমিটি দেয়া হলেও এখানে আলোচনায় যারা ছিলেন তাদের অনেকেই বাদ পড়েছেন। আবার এক নেতাও পদত্যাগ করেছেন।

এখন সব আলোচনা মহানগর যুবলীগ নিয়ে। কারণ মহানগর যুবলীগে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এই দুই পদে এক ডজন হাই প্রোফাইল যুবনেতা নেতা আলোচনায় রয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে কথা হলে তারা প্রতিবারই জানায়, মহানগর যুবলীগের কমিটির রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়েছে। যে কোনো সময় ঘোষণা করা হতে পারে। কিন্তু সেই ঘোষণা গত ১১ মাসেও হয়নি।

কেন্দ্রীয় যুবলীগের সর্বশেষ খবর হল, এই রমজানে কমিটি ঘোষণা হচ্ছে না। ঈদের পরে ঘোষণা হবে মহানগর যুবলীগের আংশিক কমিটি। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের শর্ট লিস্ট তৈরি করা হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় যুবলীগের এক শীর্ষ নেতা। এই শর্ট লিস্ট থেকে সভাপতিসাধারণ সম্পাদক চূড়ান্ত করার কাজ করছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান।

মহানগর যুবলীগের শীর্ষ তালিকায় যারা : চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের শীর্ষ তালিকায় আছেন সাবেক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক দিদারুল আলম দিদার, মাহবুবুল আলম সুমন, সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ পাল দেবু, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম আর আজিম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন, ওমর গণি এমইএস কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আরশেদুল আলম বাচ্চু, বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, যুবনেতা নুরুল আনোয়ার, আসিফ মাহমুদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফজলে রাব্বী সুজন।

এছাড়াও আলোচনায় আছেন যুবলীগ নেতা মো. হেলাল উদ্দিন, সুরজিত বড়ুয়া লাভু, মনোয়ার উল আলম চৌধুরী নোবেল, এক এম শহীদুল কাওসার, সনৎ বড়ুয়া, ওয়াহিদুল আলম শিমুল, শেখ নছির আহমদ, সুমন দেবনাথ, জবেদুল আলম সুমন, নুরুল আজিম রনি, ইঞ্জিনিয়ার আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

প্রসঙ্গত, মহানগর যুবলীগের সম্মেলন হয়েছিল গত বছরের ৩০ মে। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কমিটির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে যেতে পারেননি কাউন্সিলররা। কমিটির বিষয়ে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে দ্বিতীয় অধিবেশন শেষ হয়েছিল। তারা ঢাকায় গিয়ে কমিটি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু গত ১১ মাসেও ঢাকা থেকে কমিটি দিতে পারেনি। এই কারণে সম্ভাব্য সভাপতিসাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ ২০ এপ্রিল থেকে
পরবর্তী নিবন্ধছয় মাসের দণ্ড এড়াতে ৭ বছর হিজড়ার সাজ