সমৃদ্ধি ও আগামীর স্বপ্ন নিয়ে দৃষ্টি

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ৩০ নভেম্বর, ২০২১ at ৮:৩১ পূর্বাহ্ণ

দৃষ্টি বাংলাদেশের তরুণদের একটি স্বপ্নের প্ল্যাটফর্ম। মেধা, মনন ও সৃষ্টিশীলতার মধ্য দিয়ে দৃষ্টির সৃষ্টি। ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯২। দৃষ্টির প্রতিষ্ঠার সাথে যুক্ত ছিলেন মাসুদ বকুল ও আরশাদ বিপন। সঙ্গী ছিলেন, কবি ও গীতিকার শাহীন আনোয়ার, আখতার হোসেন, কশসাফুল হক শেহজাদ, কামাল হোসেন মিঠু, আমান উল্লাহ আল কাদের, শায়লা চৌধুরী, রাশেদুল আমিন রাশেদ। পরবর্তীতে সাথে যুক্ত হন সাংবাদিক কলিম সরওয়ার, বৃজেট ডায়েস, সামসুদ্দীন আহমেদ সামস্‌, গোলাম বাকী মাসুদ, মিলি চৌধুরী, সাইফ চৌধুরী, জিয়াউল মুনির উজ্জ্বল, রফি উদ্দিন মাহমুদ মুন্না, ডা. আবু সাঈদ শিমুল, বনকুসুম বড়ুয়া নুপুর, শেখ ইরশাদ উদ্দিন সুমন, আরিফ জিয়া, তাহিদ খান, রুবাইয়াত সরওয়ার, সৈয়দ রিফাত ফারুক সম্রাট, ড. আদনান মান্নান, শামসুল তাবরিজ সনেট, শহিদুল ইসলাম, নাজমুল আসিফ, মুজিবুর রহমান মনি, বোরহান উদ্দিন শাওন, উর্মি আর্চায্য, আফসানা তমা, ডা. ফাহিমা ফিরোজ মিথিলা, তাফহিম হিমেল, রুবাইয়াত সওয়ার শান্তা, সাবের শাহ, সাইফুদ্দিন মুন্না, মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, জুনায়েদ কৌশিক চৌধুরী, উর্মি অতন্দ্রিলা, উর্মি রহমান, মাসুদুর রহমান, কাজী আরফাত, প্রিয়ম দাশসহ একঝাঁক সৃষ্টিশীল তরুণ। শুরুতে আবৃত্তি নিয়ে কাজ করলেও পরবর্তীতে দৃষ্টি পরিণত হয়েছে একটি সৃষ্টিশীল সংগঠন রূপে। শিক্ষার্থীদের কাছে পরিচিত একটি নাম দৃষ্টি। প্রথম বিতর্ক উৎসব, প্রথম সংসদীয় ধারার বিতর্ক প্রতিযোগিতা, চট্টগ্রামে প্রথম বিতর্ক কর্মশালা, একমাত্র বিতর্ক স্কুল এবং ধারাবাহিকভাবে স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন- সবগুলোই দৃষ্টি চট্টগ্রামের হাত ধরে হয়েছে। ১৯৯২ সালে শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও নিয়মিত-অনিয়মিতভাবে আবৃত্তি করে যাচ্ছে দৃষ্টি চট্টগ্রামের সদস্যরা। ১৯৯৫ সালে শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তিনদিন ব্যাপী আবৃত্তি উৎসবের আয়োজন করে। আলিয়ঁস ফ্রসেঁজ মিলনায়তন মঞ্চে পরিবেশন করা হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা থেকে শ্রুতি নাটক ‘শেষের রাত্রি’। মিলি চৌধুরীর একক পরিবেশনা ‘আমরা করব জয়’ ছিল আরো একটি সফল প্রযোজনা।
এছাড়াও দৃষ্টি প্রতি বছর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজন করে স্মৃতিকথামূলক আবৃত্তি অনুষ্ঠান ‘মুক্তির কথা শুনি’, বৈশাখ ও বর্ষাকে বরণ করে আয়োজন করে ‘কবিতায় বৈশাখ’ ও ‘কবিতায় বর্ষা’। চট্টগ্রামে প্রথম বিতর্ক উৎসব অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৭ সালে। দৃষ্টির আয়োজনে ৩ দিনের এই উৎসব উদ্বোধন করেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি ও তৎকালীন ডেপুটি সিপকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠা করে দৃষ্টি স্কুল অব ডিবেট। ২৮তম আন্ত:স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনের পর এটি একটি মাইলফলকে পরিণত হয়। দৃষ্টি বাংলা বিতর্ক প্রতিযোগিতার পাশাপাশি ইংরেজি বিতর্ক প্রতিযোগিতারও আয়োজন করে আসছে। এছাড়াও কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্যও নিয়মিতভাবে আয়োজন করে বিতর্ক প্রতিযোগিতার। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে চট্টগ্রামের পাশাপাশি কক্সবাজার ও রাঙামাটিতে স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। ‘রোড টু চিটাগাং’ নামের এই প্রতিযোগিতায় ৩ জেলার ৭২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২২৬ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। দৃষ্টি আয়োজন করে বিজনেস আইডিয়া কনটেস্ট। ২০১৫ সাল থেকে জুনিয়র ছায়া জাতিসংঘের আয়োজন করে আসছে। নোবেল বিজ্ঞান বক্তৃতা এবং বিজ্ঞান উৎসব অন্যতম সংযোজন। বিভিন্ন দিবসকে সামনে রেখে বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং জাতীয় বিষয় নিয়ে ‘তারুণ্যের সংলাপের’ আয়োজন করে। দৃষ্টির নিয়মিত প্রকাশনা ‘যুক্তিবোধ’, এর বাইরে বার্ষিক প্রকাশনা ফিনিক্স প্রকাশিত হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে প্রকাশিত হয় ‘শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু’। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ২১ বছর পূর্তিতে চট্টগ্রামের সেরা সংগঠনের সম্মাননা অর্জন করে। একই সাথে ২০০৮ ও ২০১১ সালে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় বিতর্ক সংগঠন বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশন (বিডিএফ) এর সেরা সংগঠনের পুরস্কার লাভ করে দৃষ্টি চট্টগ্রাম। দৃষ্টির প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ বকুল আজাদীকে বলেন, ২০২২ সালে আমাদের প্রতিষ্ঠার ৩০ বছর পূর্তি। এই দীর্ঘ পথচলায় আমরা উপলব্ধি করেছি আমাদের তরুণদের ইতিবাচক স্বপ্ন দেখাতে পারলে তারা ঠিকই সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন করবে। প্রয়োজন শুধু একটু অনুপ্রেরণা ও সঠিক পথে এগিয়ে নেয়া। দৃষ্টি সে কাজটি করে এসেছে এবং সামনের দিনগুলাতেও করে যাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচিটাগাং চেম্বারে জার্মানির চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়
পরবর্তী নিবন্ধঅনাবাদি জমিতে চাষাবাদ বাড়াতে হবে