সমুদ্র সৈকতে রেলগাড়ি

সাহাদাত হোসাইন সাহেদ | রবিবার , ৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ at ৭:০৭ পূর্বাহ্ণ

ভালোবাসার চেয়ে সুন্দর/ মমতার চেয়ে কোমল/অনুভবের চেয়ে উষ্ণ/স্বপ্নের চেয়ে বড়/ কিছুই নেই মানুষের। ফিজি দ্বীপবাসিনী কবি মৃন্ময়ী দিদির বাক্যের মাঝে খুঁজি ফিরি দেশ মাটি ও মৃত্তিকা। আজ দেশ সাজছে, নতুন নতুন স্থাপনা বাড়ছে, যোগাযোগের স্বপ্ন বাস্তবতার ছোঁয়াই অভুতপূর্ব পরিবর্তন।

কী উনিলাম আজব কথা/ দইজ্জার তলে চলের গাড়ি। বুডুর গড়ি দুই মিনিটে/ পৌঁছি যাইয়ুম বাপর বাড়ি’। বদলে যাচ্ছে দৃশ্যপট। পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ছুটছে রেল। কুঝিক কুঝিক,লক্কর ঝক্কর না, পুরো উন্মাদনা নিয়ে সরকার প্রধান শেখ হাসিনা এগিয়ে দিচ্ছেন রেল পথকে। স্বাধীনতার ৫০ বর্ষ পর স্বপ্নগুলি আর স্বপ্ন নয়, ১লা ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিক ভাবে শুরু হবে ঢাকাকঙবাজার ট্রেন চলাচল। স্বপ্নের রেল এখন পর্যটন শিল্পের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে। মনের দোলায় রাঙিয়ে ভালোবাসা প্রেম ও মুগ্ধ নগরীর জলকেলির জলতরঙ্গ।

কি মজার স্বপ্নসাধ। দেশী বিদেশী পর্যটন সহ স্বাচ্ছন্দে যাতাযাত করতে পারবে রেলপথে। এতে যানযট বিহীন সময়, অর্থ ও জ্বালানির কষ্ট ও নষ্ট থেকে রক্ষা পাবে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী। কর্তৃপক্ষের ঘোষণা মতে ঢাকা থেকে সাতঘণ্টা এবং চট্টগ্রাম থেকে ২ ঘণ্টায় পৌঁছানো যাবে। তবে এনিয়ে জনতার কথাচৌদ্দ পুরুষের স্বপ্ন পূরণের রূপদাতা মুজিব তনয়া শেখ হাসিনার এমন উদ্যোগ যুগান্তকারী মাইলফলক। জনতা মন ভরে স্মরণ করবে যুগে যুগে।

রেলের মতো আরাম ও স্বাচ্ছন্দ্যময় বাহনের কারণে বাড়বে নতুন নতুন শিল্প কারখানা ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সংস্থা। আমাদের মনে রাখতে হবে প্রতিদিন আসলে একটু একটু পরিবর্তন হয়, অনেক কিছু যুক্ত হয় জীবনে। যে কাজটা আনন্দ দেয়, তা দিয়ে যদি দেশের সমৃদ্ধি আসে, উপার্যন হয়, সচল হয় অর্থনীতির চাকা আমরা সে পথের যোজন যোজন যাত্রী হবো। কবির দেশ মাটি মৃত্তিকার সন্ধানের পথে সংযুক্ত হয়ে বলবো আমার দেশের অমূল্য রতন, সোনার চেয়ে খাঁটি। বাংলাদেশ ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নয়, দাঁড়িয়ে আছে অমরত্বের সিংহাসনে। যাত্রায় পথ খুঁজে নেবে স্বপ্নের স্বপ্ন বিলাস। মহা সমারহে ধ্বনিত হবে ঝিনুকের শৈল্পিক ছন্দ সমীরণ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরোকনুজ্জামান খান : সবার প্রিয় দাদাভাই
পরবর্তী নিবন্ধপরিবেশ রক্ষায় সচেতন হওয়া প্রয়োজন