সমাবেশের নামে সড়ক বন্ধ করে জনভোগান্তি কেন চায় বিএনপি : প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

| বৃহস্পতিবার , ১৭ নভেম্বর, ২০২২ at ৭:৪৭ পূর্বাহ্ণ

তথ্য ও সমপ্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের নামে রাজধানীর প্রধান সড়ক বন্ধ করে বিএনপি কেন জনভোগান্তি করতে চায়, তা বোধগম্য নয়। তিনি গতকাল বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সমাবেশ করে কোনো রাজনৈতিক দলেরই জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা উচিত নয়। সেজন্য আমাদের নেত্রী আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী সবসময় জনগণের যাতে দুর্ভোগ না হয়, সে জন্য বন্ধের দিনে এবং খোলা মাঠে সমাবেশ করার বিষয়ে গুরুত্ব দেন। রাস্তা বন্ধ করে বিশেষ করে প্রধান সড়ক বন্ধ করে সমাবেশ করা নিয়ে সাংবাদিকরা সোচ্চার, সাধারণ মানুষও এটি চায় না। খবর বাসসের।
ড. হাছান বলেন, আমি আশ্চর্য হয়ে দেখলাম যে নয়া পল্টনের প্রধান সড়কের ওপর বিএনপি সমাবেশ করতে চায়। সেটি ঢাকা শহরের প্রধান সড়ক। এর ওপর সমাবেশ করলে তো জনগণের ভোগান্তি হবেই। ঢাকা শহরে তো অনেক মাঠ আছে। সোহরাওয়ার্দী ময়দান, পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলার মাঠ, আরো নানা মাঠ আছে। মাঠ বাদ দিয়ে তারা কেন ঢাকা শহরের প্রধান সড়কে সমাবেশ করতে চায়, সেটি আমার বোধগম্য নয়। এতে
ভাংচুর করতে সুবিধা হয়। রাস্তায় দোকানপাট থাকে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে সুবিধা হয়। সেই উদ্দেশ্যে করেছে কি না আমি জানিনা।
এদিকে ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস এ বিষয়টি সাংবাদিকরা তুলে ধরলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি হচ্ছে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী একটি দল। বিএনপির জন্মটাই অগণতান্ত্রিকভাবে এবং হত্যার মাধ্যমে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান হাজার হাজার সেনাসদস্যকে বিনা বিচারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। অনেকের ফাঁসি কার্যকর করার পর বিচারের রায় হয়েছে, ‘দিজ আর ডকুমেন্টেড’। আমাদের দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, তিনিও কম যাননি। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, আমাদের সভা সমাবেশে হামলা -এগুলো বেগম জিয়ার আমলেই হয়েছে। তারা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বিধায় সেদিন তারা সমাবেশের তারিখ ঠিক করেছে কি না,সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন।
এর আগে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের পর্যটন’ (ট্যুরিজম অব বাংলাদেশ) বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন মন্ত্রী। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের মহাপরিচালক স ম গোলাম কিবরিয়া এবং পরিচালক মোহাম্মদ আলী মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএবার অবসরে পাঠানো হল আরেক এসপিকে
পরবর্তী নিবন্ধপ্রথমবার বাংলাদেশকে গ্র্যামিতে নিলেন মা নাশিদ কামাল ও মেয়ে আরমিন মুসা