চিকিৎসা ও দেহতত্ত্বে নোবেল পুরস্কার ২০২১ উদযাপন উপলক্ষে দৃষ্টির আয়োজনে গতকাল শুক্রবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত হয় নোবেল বিজ্ঞান বক্তৃতা সেশন ২। মূল বক্তা ছিলেন ঢাবি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক ড. মুশতাক ইবনে আয়ুব। প্যানেল আলোচক ছিলেন চবি বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. দ্বৈপায়ন সিকদার এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ডায়বেটিস ও হরমোন রোগ বিভাগের প্রধান ডা. ফারহানা আকতার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিভাসু উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। অতিথি ছিলেন চমেবির উপ পরিচালক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া। দৃষ্টির সভাপতি মাসুদ বকুলের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, দৃষ্টির যুগ্ম সম্পাদক সাইফুদ্দিন মুন্না। সঞ্চালনায় ছিলেন চবি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান।
ড. মুশতাক ইবনে আয়ুব ডেভিড জুলিয়াস ও আরডেম পাটাপুটিয়ান আবিষ্কৃত যথাক্রমে তাপমাত্রা সংবেদনের রিসেপ্টর ও সপর্শ সংবেদনের রিসেপ্টর আবিষ্কারের গল্প তুলে ধরেন।
ডা. ফারহানা আকতার তুলে ধরেন রোগের চিকিৎসায় এই আবিষ্কারের গুরুত্ব। ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য অসুখে ডেভিড জুলিয়াস ও আরডেম পাটাপুটিয়ানের আবিষ্কার নতুন চিকিৎসার সুযোগ সৃষ্টি করবে করবে। ড. দ্বৈপায়ন শিকদার নোবেল পুরস্কারের আবিষ্কার থেকে পরবর্তীতে আরো কীভাবে নতুন নতুন আবিষ্কারের দ্বার উন্মোচন করা যায় সে বিষয়ে আলোকপাত করেন।
প্রধান অতিথি ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, নোবেল পুরস্কার শুধু আবিস্কারের জন্য দেওয়া হয় না, বরং দেখা হয় তা মানব কল্যাণে কতটুকু কাজে লাগছে। এ ধরনের বিজ্ঞান বক্তৃতা আগামী দিনের বিজ্ঞানী তৈরিতে ভূমিকা রাখবে। দেশের সমস্যা সমাধান বের করতে বিজ্ঞান গবেষণা খুবই দরকার এবং চট্টগ্রামের এ ধরনর কাজ বেশি হওয়া উচিত। দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল এলবিয়ান গ্রুপ ও আমেরিকান কর্নার চট্টগ্রাম। সহযোগিতায় ছিল- ডিজিজ বায়োলজি অ্যান্ড মলিকুলার এপিডেমিওলজি রিসার্চ গ্রুপ, চিটাগাং ইউনিভার্সিটি রিসার্চ অ্যান্ড হায়ার স্টাডি সোসাইটি, নেটওয়ার্ক অফ ইয়ং বায়োটেকনোলজিস্ট অব বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউএসটিসি চ্যাপ্টার, ইউএসটিসি ফার্মা ডিবেটিং ক্লাব এবং হোয়াইট বোর্ড সাইন্স ক্লাব। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
