সব ক্ষেত্রে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে চাই : প্রধানমন্ত্রী

| রবিবার , ২৩ মে, ২০২১ at ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছে। সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে চাই। তিনি বলেন, জাতির পিতা যে আদর্শ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন, সেই আদর্শ নিয়ে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলবে বাংলাদেশ। তার জন্মশতবার্ষিকীতে এ প্রতিজ্ঞাই করব, এই দেশকে সবদিক থেকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করব।
মৎস্যজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শনিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে ৯৮ সালেই দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করি। দ্বিতীয়বার সরকারে এসে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণ করি। খাদ্যের সঙ্গে পুষ্টিটা যাতে যোগ হয় তার ব্যবস্থা নেই। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছে। খবর বাংলানিউজের।
সরকারপ্রধান বলেন, একটা মানুষ ৬০ গ্রাম মাছ খেতে পারলে তার জন্য যথেষ্ট। এখন মানুষ ৬২ গ্রাম পর্যন্ত নিতে পারে। সুযোগটা সৃষ্টি হচ্ছে। একই সঙ্গে ব্যাপক কর্মসংস্থান হচ্ছে। যুব সমাজকে চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, যুবসমাজ পড়ালেখা শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেরাই যদি মৎস্য খামার করে মাছ উৎপাদন করে বিক্রি করে পয়সা পেতে পারে। সেজন্য সারা বাংলাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। সেখানে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প গড়ে তোলার দিকে। মাছ ও মৎস্যজাত যেকোনো কিছু প্রক্রিয়াজাত করতে পারে সেই সুযোগটাও সৃষ্টি হচ্ছে। কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে জামানত ছাড়া ঋণ নিতে পারবে। সেখান থেকে ঋণ নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নদী-নালা, খাল-বিলের দেশ। বাংলাদেশে শত শত নদী রয়েছে। আমরা খাল-বিল ও জলাধারকে সংস্কার করার কাজ করে যাচ্ছি। সেখানে যাতে আরও বেশি পরিমাণ মাছ উৎপাদন হয় তার ব্যবস্থাও নিচ্ছি। আমাদের মাছের উৎপাদন যেখানে ২৭ লাখ মেট্রিক টন ছিল এখন প্রায় ৫০ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদন করে যাচ্ছি। ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ এক নম্বর। ইলিশ উৎপাদনে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছি। মাছের প্রজনন সময়ে মৎস্যজীবীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে থাকি। প্রত্যেককে বিনা পয়সায় খাদ্য সাহায্য দিয়ে থাকি। বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করে থাকি। তারা যাতে কষ্ট না পায় সেই ব্যবস্থাও করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাছ উৎপাদনে আমরা বিশেষ যত্ন নিচ্ছি। খাদ্য নিরাপত্তার পরে পুষ্টি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়াতে এখন মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভুগছে না। খাদ্য তালিকায় ভাতের পাশাপাশি মাছ, সবজি ও ফলমূল রাখতে অনুরোধ করেন তিনি।
মৎস্যজীবী লীগকে আরও সুসংগঠিত করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মৎস্য উৎপাদনে আমাদের যুব সমাজ যাতে মনোযোগী হয়, সেই দিকে একটু দৃষ্টি দেওয়া। এই খাতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগটা কাজে লাগানো। এর জন্য প্রশিক্ষণ ও ঋণের ব্যবস্থা রয়েছে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও আহ্বান জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাগরে লঘুচাপ ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা
পরবর্তী নিবন্ধছয় বছর পর নতুন করে ফিজিবিলিটি স্টাডি