সকল সামপ্রদায়িক অপশক্তির অবসান চাই

সেমু দে | শুক্রবার , ২২ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:৩৬ পূর্বাহ্ণ

ধর্ম যার যার, বাংলাদেশ সবার। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ গুটিকয়েক হীন মানুষের কাছে জিম্মি হতে পারে না। মানুষে মানুষে সমপ্রীতির মেলবন্ধন আবহমান বাংলার ঐতিহ্য। পবিত্র ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, শারদীয় দুর্গোৎসব, প্রবারণা পূর্ণিমা, বড়দিন এসবই আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারক-বাহক। প্রতিটি উৎসব পার্বণে সকল সমপ্রদায়ের মানবিক মানুষগুলো একত্রে মিলিত হয় আনন্দ উৎসবে। অথচ স্বাধীনতাত্তোর পরবর্তী সময়ে থেকে আমাদের এই সামপ্রদায়িক সমপ্রীতির সুন্দর মেলবন্ধনে সময়ে সময়ে অশান্ত ও শংকিত করে তোলে গুটিকয়েক কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ, তাদের অন্ধকারের কালো থাবায় নির্যাতনের শিকার হয় এদেশের সংখ্যালঘু সমপ্রদায়ের নিরীহ মানুষগুলো। হৃদয়ের রক্তক্ষরণ হয় মানবিক মানুষ হিসাবে। আধুনিক প্রযুক্তির বদৌলতে নতুন প্রজন্মের বিকৃতরুচি যুবকরা এ জঘন্য কাজে সম্পৃক্ত হচ্ছে বেশি। তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে হবে অসামপ্রদায়িক চেতনার নতুন সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের দিকে। এ কাজ যত কঠিন হোক তা করতে হবে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে। দেশের ঘটে যাওয়া সংগঠিত সামপ্রদায়িক সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে এগিয়ে আসতে হবে সকল অসামপ্রদায়িক চেতনার মানুষদেরকে। সংস্কৃতির গণজাগরণ অব্যাহত রাখতে হবে নিরন্তর প্রক্রিয়ায়। বিচারের আওতায় আনতে হবে এসব কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের। সংখ্যালঘু নিরাপত্তা আইন আজ সময়ের দাবি বলে মনে করি। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বেশেষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এগিয়ে নিতে হবে অগ্রসরমান বাংলাদেশকে। আসুন সকলে মিলে আমাদের অনাগত সন্তানের জন্য তৈরি করি একটি সুনীল সুন্দর বাংলাদেশ, যেখানে থাকবে না কোনো সামপ্রদায়িক বিষবাষ্প, থাকবে না কোন মানুষে মানুষে ভেদাভেদ। সবার হৃদয়ে জড়িয়ে থাকবে – ‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাঁহার উপরে নাই’।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএকই সময়ে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা প্রসঙ্গে
পরবর্তী নিবন্ধএখন অস্তিত্বের সঙ্কট