সরকারের নেয়া গৃহীত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান নেতৃত্বে প্রশাসনের কর্মকর্তারা সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর পরিদর্শন করেন। গতকাল সোমবার বিকালে তিনি বায়েজিদ লিংক রোড হতে জঙ্গল সলিমপুর প্রবেশের সকল প্রবেশ মুখ ঘুরে দেখেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাজমুল আহসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলম প্রমুখ।
প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানান, জঙ্গল সলিমপুর ও জালালাবাদ এলাকার সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার স্বার্থে বায়েজিদ লিংক রোডের দুপাশে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য জায়গা চূড়ান্ত করা হয়। বায়েজিদ লিংক রোড সংলগ্ন জঙ্গল সলিমপুর প্রবেশের দুপাশে দুটি নিরাপত্তা চৌকি স্থাপনের জায়গা সীমানা পিলার দিয়ে নির্দিষ্ট করা হয়। এছাড়া লিংক রোড সংলগ্ন কর্ণফুলী গ্যাস পাইপ লাইনের উপড় নির্মিত সকল অবৈধ স্থাপনা আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে সরিয়ে নেয়ার জন্য মাইকিং করা হয়। পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকার জঙ্গল সলিমপুরে বসতি স্থাপনকারী ১৫ হাজার পরিবারকে পুনর্বাসন এবং সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এখানে আর কোনো ভূমিদস্যু, কোনো সন্ত্রাসীর জায়গা হবে না। জনগণের অসুবিধা হয় এমন কিছু করা হবে না। মনে রাখতে হবে দেশটা আমাদের। তাই আইন মানতে হবে। কারও যাতে অসুবিধা না হয় সেভাবে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, জঙ্গল সলিমপুরে হবে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ‘নাইট সাফারি পার্ক’। এ সাফারি পার্কে থাকবে সিঙ্গাপুরের জুরং বার্ড পার্কের আদলে ‘নাইট জু’। নাইট সাফারি পার্কের জন্য ৫৭.৫০ একর জায়গার বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলম বলেন, বায়েজিদ লিংক রোড হতে জঙ্গল সলিমপুর প্রবেশের সকল প্রবেশ মুখ পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রবেশ মুখগুলো দিয়ে যাতে কোনো ধরনে ভারী ও অবৈধ যানবাহন চলাচল করে গ্যাস পাইপ লাইনের ক্ষতি সাধন ও অবৈধ বসতি ও পাহাড় কাটার মত অপরাধ সংঘটিত না হতে পারে সে লক্ষ্যে প্রবেশ মুখগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনপূর্বক রোড ব্লকেজ নির্মাণ করা হবে।