নগরীর প্রধান পূজামণ্ডপ জে এম সেন হলসহ দেশের অনেক স্থানে প্রতিমা ভাংচুর, মঠ-মন্দির-ঘরবাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, অগ্নিসংযোগ, হত্যাসহ পূজার্থীদের উপর হামলায় জড়িত দুষ্কৃতিকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দ্রুত বিচার আইনে মামলা করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল সোমবার আন্দরকিল্লা চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদের উদ্যোগে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে নগরীর ১৫ থানা থেকে পূজা কমিটির পূজার্থী জনগণ এবং নগরীর বিভিন্ন পূজা মণ্ডপের পূজার্থীরা অংশ নেন। সমাবেশে মহানগর পূজা পরিষদের পক্ষ থেকে সভাপতি লায়ন আশীষ কুমার ভট্টাচার্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে ৭ দফা দাবি পেশ করেন। দাবিসমূহ হলো ’৭২ এর সংবিধানের আলোকে সকল সমপ্রদায়ের সমঅধিকার নিশ্চিত করা, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন করা, ক্ষতিগ্রস্ত মঠ-মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি সরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্মাণ, নিহত ব্যক্তির পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সহযোগিতা করা।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত বলেন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন এখন সময়ের দাবি। অতীতে সনাতন সমপ্রদায়ের উপর যে হামলা হয়েছিল তার সঠিক বিচার না হওয়ায় আজ সামপ্রদায়িক গোষ্ঠী দুর্গাপূজায় হামলা চালানোর দুঃসাহস দেখিয়েছে। অতীতে ছাড় দেয়া হলেও এবার হামলায় যারা জড়িত তাদেরকে যেন আর ছাড় দেয়া না হয়। তা না হলে পূজা উদ্যাপন পরিষদের পক্ষ থেকে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সমাবেশে প্রধান বক্তা নির্মল কুমার চ্যাটার্জী বলেন, অবিলম্বে প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুতবিচার আইনে বিচার করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর পূজা পরিষদের সভাপতি লায়ন আশীষ কুমার ভট্টাচার্য। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল। বক্তব্য দেন, জন্মাষ্টমী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি সুজিত কুমার বিশ্বাস, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, কেন্দ্রীয় পূজা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল পালিত, মহানগর পূজা পরিষদের সাবেক সভাপতি সাধন ধর, অরবিন্দ পাল অরুন, অ্যাড. চন্দন তালুকদার, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ মহানগরের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নিতাই প্রসাদ ঘোষ, ইসকনের বিভাগীয় সম্পাদক চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী, প্রবর্তক ইসকন মন্দিরের লীলারাজ গৌরদাস মহারাজ, কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী, শৈবাল দাশ সুমন, পুলক খাস্তগীর, রুমকি সেনগুপ্ত, অধ্যাপক অর্পন কান্তি ব্যানার্জী, লায়ন দুলাল চন্দ্র দে, সুমন দেবনাথ, রত্নাকর দাশ টুনু, সুজিত দাশ, শ্রীপ্রকাশ দাশ অসিত, অরূপ রতন চক্রবর্তী, প্রদীপ শীল, বিপ্লব কুমার চৌধুরী, মিথুন মল্লিক, অ্যাড. নিখিল কুমার নাথ, সজল দত্ত, অ্যাড. নটু চৌধুরী, বিপ্লব সেন, অঞ্জন দত্ত, দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. টিপু শীল জয়দেব, বৃষ্টি বৈদ্য। সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন, অখণ্ডমণ্ডলী সভাপতি মনোতোষ মজুমদার, জেলা সৎসঙ্গের সাধারণ সম্পাদক লায়ন শংকর সেনগুপ্ত, অনুপ বিশ্বাস, প্রণব সাহা, অধ্যাপক ড. শিপক নাথ, অধ্যাপিকা বিজয়লক্ষ্মী দেবী, দক্ষিণ জেলা পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রুবেল দেব, মাস্টার শ্যামল দে, কল্যাণ পাল, গোপাল দাশ টিপু, মহানগরের আওতাধীন ১৬টি থানার সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।