সংক্ষিপ্ত জীবনের মধ্যে চাইলে অনেক কিছুই করা যায়

চবি ৩৯তম ব্যাচের পুনর্মিলনীতে এম এ মালেক

চবি প্রতিনিধি | শনিবার , ২৯ অক্টোবর, ২০২২ at ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ

দৈনিক আজাদী সম্পাদক ও সাংবাদিকতায় একুশে পদকপ্রাপ্ত এম এ মালেক বলেছেন, মানব জীবন সংক্ষিপ্ত। তাই জীবনের প্রত্যেকটা মুহূর্তকে উপভোগ করতে হবে। কেননা, একটু পরে কি হবে! আমরা তা জানি না। তবে এই সংক্ষিপ্ত জীবনের মধ্যেও চাইলে অনেক কিছুই করা যায়। জীবনটাকে স্মৃতিময় করে রাখা যায়। স্মরণীয়ও হওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৩৯তম ব্যাচের দিনব্যাপী ১ম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে এম এ মালেক উপরোক্ত অনুভূতি ব্যক্ত করেন। গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে এ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘প্রাণের উৎসবে আবেগের ঊনচল্লিশে’- প্রতিপাদ্যে পুনর্মিলনী উৎসবের শুরুতে সকাল ১০টায় বর্ণাঢ্য র‌্যালি, বেলুন-ফেস্টুন ও পায়রা উড়ানো হয়। এরপর শুরু হয় আলোচনা সভা। এতে কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আলোচনা সভার প্রধান অতিথি ও চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। মধ্যহ্নভোজের পর শুরু হয় স্মৃতিচারণ, এরপর সাংস্কৃতিক পর্বের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়। এসময় ৩৯তম ব্যাচের ‘১ম পুনর্মিলনী-২২’ নামে একটি ম্যাগজিনের মোড়ক উন্মোচন করা হয় এবং উপস্থিত অতিথিদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে এম এ মালেক আরও বলেন, আবেগ দিয়ে তাড়িত না হয়ে বিবেক দিয়ে যেকোনো বিষয় বিবেচনা করা উচিত। বিবেক হলো আমাদের শ্রেষ্ঠ আদালত। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক-দৈনিক আজাদী’ নামে আমাদের একটি শিক্ষাবৃত্তি চালু রয়েছে। প্রতি বছর ১০জন শিক্ষার্থী এর মাধ্যমে বৃত্তি পায়। আর দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরাও বৃত্তি পায়। সেখানে প্রায় ২০ লাখ টাকার মতো আছে, যার মুনাফাও শিক্ষার্থীরা পায়। আমরা সেটাকে ২৫ লাখ টাকা করে দেব।
এম এ মালেক বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র দৈনিক, যার দুইজন সম্পাদক দুটি পুরস্কার পেয়েছেন। একজন স্বাধীনতা পুরস্কার, আর আমি একুশে পদক। এটি গৌরব ও আনন্দের। একুশে পদক পাওয়ার মধ্যে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমার কফিনে লাল সবুজের পতাকা স্থান পাবে। এর চেয়ে আনন্দের আর কিছুই নাই আমার কাছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অহংকার। তারা এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষাজীবন শেষ করে স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে নিজেদের দক্ষতা ও সক্ষমতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে শুধু তাই নয়; পাশাপাশি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম উজ্জ্বল করছে। এটি অত্যন্ত আনন্দের ও গৌরবের। তিনি আরও বলেন, এলামনাইরা আন্তরিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হলে বিশ্ববিদ্যালয় উপকৃত হবে। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে। সম্মানিত অতিথি ছিলেন চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট, চবি এলামনাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম।

চবি ৩৯তম ব্যাচের অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহবায়ক ফজলুর কবীর খসরুর সভাপতিত্বে এবং জুবাইদা ছরওয়ার চৌধুরী নিপা ও দিলরুবা খানমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া, পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব রাশেদ এইচ চৌধুরীসহ কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমেলবোর্নে দিনজুড়ে বৃষ্টির রাজত্ব
পরবর্তী নিবন্ধআখাউড়ায় একই লাইনে দুই ট্রেন অল্পের জন্য রক্ষা