আবাসন খাত ভয়াবহ রকমের দুর্দিন পার করছে মন্তব্য করে চট্টগ্রামের প্রথম সারির আবাসন শিল্প প্রতিষ্ঠান সিপিডিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, পরিস্থিতি এত বেশি নাজুক যে, এর থেকে উত্তরণের পথ একমাত্র সরকারই বাতলে দিতে পারে। নির্মাণ-সংশ্লিষ্ট জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু নির্মাণ সামগ্রীই নয়, দ্রব্যমূল্যও বাড়ছে। এগুলো একটির সাথে অন্যটির সম্পর্ক নিবিড়। প্রতিটি পণ্যের দাম কীভাবে সহনশীল রাখা যায় সরকারকে সেটা নিয়ে ভাবতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে করোনা পরিস্থিতির শুরুতে সরকার প্রণোদনা দিয়ে বিভিন্ন খাতকে সহযোগিতা করেছে। সরকারি ওই উদ্যোগ দেশের শিল্পখাতকে রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শুধুমাত্র সরকারি সহযোগিতার কারণে ওই দুর্দিনের কঠিন সময়গুলো পার করা বহু খাতের জন্য সহজ হয়েছে। বর্তমানে আবাসন খাত যেভাবে সংকটে পড়েছে এর থেকে রক্ষা করতে সরকারকে ওইভাবে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, সরকার যদি আমাদেরকে প্রণোদনা দিয়ে এবং নির্মাণ সামগ্রীর ভ্যাট ট্যাঙ প্রত্যাহার করে মূল্য সহনীয় রাখে তাহলেই কেবল গুরুত্বপূর্ণ এই সেক্টরটি রক্ষা পাবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার ভ্যাট কমিয়ে দিয়েছে। এতে তেলের দাম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। একইভাবে যদি নির্মাণ-সংশ্লিষ্ট পণ্যের ভ্যাট-ট্যাঙ কমিয়ে দেয়া হয় তাহলে এসব পণ্যের দামও নিয়ন্ত্রণে আসবে।
ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন বলেন, ছোটখাটো কিছু ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডের ফলে গত ক’বছর ধরে এই সেক্টর ইমেজ ক্রাইসিসে পড়েছিল। বড় কোম্পানিগুলোর ইতিবাচক পদক্ষেপের ফলে সেই দুর্নাম ঘুচিয়ে আবাসন খাত ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। এখন যে সংকট দেখা দিয়েছে তা যদি আমরা সুষ্ঠুভাবে ম্যানেজ করতে না পারি তাহলে আবারো একই ক্রাইসিসে পড়ে যাব। এই সংকট দেশের অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।