আগামী ১ নভেম্বর থেকে শুরু হবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিখনফলের মূল্যায়ন। কীভাবে এই মূল্যায়ন করতে হবে সে বিষয়ে সাতটি নির্দেশনা দিয়ে রোববার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রত্যক্ষ শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে সংসদ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পাঠদান এবং স্কুল পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনলাইনে পাঠদান চলছে।
এছাড়া শিক্ষকরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাঠদান অব্যাহত রেখেছেন। এরকম নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কতটুকু শিখল, তার মূল্যায়নেই এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মাউশি। খবর বিডিনিউজের।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা যেন তাদের পাঠ অগ্রগতি বা দুর্বলতা সম্পর্কে ধারণা পেতে পারে সেভাবেই এ মূল্যায়ন পদ্ধতি তৈরি করা হয়েছে। এই মূল্যায়ন যেন শিক্ষার্থীদের ওপর কোনোভাবে মানসিক বা শারীরিক চাপ সৃষ্টি না করে।
মাউশির দেওয়া নির্দেশনা : ১. এনসিটিবি মাধ্যমিক পর্যায়ের জন্য ৩০ কর্মদিবসে শেষ করার মত একটি সিলেবাস তৈরি করছে, যা মাউশির ওয়েবসাইটে (িি.িফংযব.মড়া.নফ) ‘যথাসময়ে’ প্রকাশ করা হবে।
২. ওই সিলেবাসের ভিত্তিতে এনসিটিবি অ্যাসাইনমেন্টের (নির্ধারিত কাজ) জন্য বিষয়বস্তু নির্ধারণ করেছে। প্রতি সপ্তাহে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সেই অ্যাসাইনমেন্ট মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছে পাঠানো হবে।
৩. প্রতিষ্ঠান প্রধানরা শ্রেণিভিত্তিক সময়সূচি নির্ধারণ করে আলাদাভাবে সেসব অ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষার্থীদের দেওয়া ও নেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। চাইলে অনলাইনের সাহায্যে অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া-নেওয়ার কাজটি করা যাবে।
৪. আপাতত এই অ্যাসাইনমেন্ট ছাড়া পরীক্ষা বা বাড়ির কাজের মত অন্য কোনো উপায়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা যাবে না।
৫. শিক্ষার্থীদের ফেরত দেওয়া অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষকরা তাদের দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করবেন এবং পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে সেগুলোর ওপর বিশেষ নজর দিয়ে কাঙ্খিত শিখনফল অর্জনের যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা শিক্ষকদের মূল্যায়নসহ অ্যাসাইনমেন্টগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবেন।
৬. কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে যে শিক্ষার্থীরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে গেছে, তারা নিকটবর্তী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ/জমা দিতে পারবে। সেক্ষেত্রে অভিভাবক/শিক্ষার্থী তার নিকটবর্তী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
৭. সকল আঞ্চলিক উপপরিচালক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের কাজে সমন্বয় করবেন। উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে চলতি বছর পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনী এবং এইচএসসি ও সমানের পরীক্ষাও নেবে না সরকার।