তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জিতেছে শ্রীলংকা ইমার্জিং দল। ১১২ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখে বাংলাদেশের বিপক্ষে সহজ জয় তুলে নেয় লঙ্কানরা। সিরিজে ছিল ১–১ সমতা। গতকাল রোববার ডাম্বুলায় শ্রীলংকার সামনে ২২৪ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। রান তাড়ায় নেমে শুরুতই ধাক্কা খায় লঙ্কানরা। দলীয় ১ রানের মাথায় ডাক মেরে (৩ বলে ০) আউট হন ওপেনার সোহান ডি লিভেরা। ওপেনার শেভন দানিয়েল ২৫ বলে ২৭ রান করলে তাকে এলবিডব্লিউ‘র ফাঁদে ফেলেন রিপন মন্ডল। এরপর লঙ্কানদের হাল ধরেন পবন রাথনায়েক ও নভোদ পারানাভিথানা। ৫৬ বলে ৮৫ রানের এক ঝোড়ো ইনিংস খেলেন পবন। রিশাদ হোসাইনের বলে রিপন মন্ডলের হাতে ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই মারকুটে ব্যাটার। পবনের সমান সংখ্যক বল খেলে ৪৭ রান নিয়ে আউট হয়ে যান নভোদ। রিপন মন্ডলের বলে প্রিতম কুমারের হাতে ধরা পড়েন তিনি। এরপর ২৫ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক আহান বিক্রমাসিংহে। শেষ পর্যন্ত ১১২ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় লঙ্কানরা। এই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেছেন রিপন মন্ডল। এছাড়া ২টি উইকেট শিকার করেন রিশাদ হোসাইন। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালোই শুরু করেছিল বাংলাদেশ। বিনা উইকেটে দলীয় ফিফটি রানের মাইলফলক পার করে দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও প্রিতম কুমার। দলীয় ৫৭ রানের মাথায় পেপ্রারত্নের বলে আউট হয়ে যান পারভেজ হোসেন ইমন (৩৪ বলে ৩২)। আরেক ওপেনার প্রিতম উইকেটে থিতু হয়ে বসে থাকলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৫১ বলে ৩৫ রান করে বিজয়কান্তের বলে আউট হয়ে যান তিনি। এরপর দলের দায়িত্বভার কাঁধে নেন অধিনায়ক মাহমুদুল হাসান জয় ও শাহাদাত হোসাইন। জয় ৩৭ বলে ৩৬ রান করে আউট হয়ে গেলেও শাহাদাত হোসেন খেলেন দুর্দান্ত একটি ইনিংস। দলের হয়ে একমাত্র ফিফটি করেন এই ব্যাটার। ইনিংসের ৪৬তম ওভারে বিক্রমাসিংহের বলে দানিয়ালের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তার আগেই ৭৫ বল থেকে তুলে নেন ৭৯ রান। শাহাদাত হোসেনের ফিরে যাওয়ার পর লোয়ার অর্ডারের ব্যাটাররা কান্ডজ্ঞানহীন ব্যাট করে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন। ফলে তিন ওভার বাকি থাকতেই ২২৩ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। লঙ্কানদের হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন চামিন্দু বিক্রমাসিংহে ও আশিয়ান দানিয়েল। ২টি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন নিপুণ প্রেমারত্নে ও বিজয়কান্ত বিশ্বকান্ত। এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে লঙ্কানদের কাছে ৯৯ রান হেরেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ২১ রানের জয় নিয়ে সমতায় ফেরেন মাহমুদুল হাসানের দল। তৃতীয় ম্যাচে ৫ উইকেটে হেরে সিরিজ হাতছাড়া করলো ইমার্জিং টাইগাররা।