শ্রদ্ধাঞ্জলি হে পিতা

বিভাস গুহ | শুক্রবার , ১৭ মার্চ, ২০২৩ at ৫:৪২ পূর্বাহ্ণ

আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি/ চিরদিন তোমার আকাশ তোমার বাতাস আমার প্রাণে ওমা আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি’। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত আমাদের জাতীয় সংগীতের পংক্তিগুলোকে যিনি সম্পূর্ণরূপে হৃদয়ের গভীর অনুভূতি থেকে ভালোবেসেছেন এবং প্রকৃত অর্থে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখে সে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদান করে বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন তিনিই সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহানায়ক বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা নির্যাতিত, নিপীড়িত, শোষিত ও অধিকার বঞ্চিত মানুষের সোচ্চার কণ্ঠস্বর বিশ্ব মানবতার অগ্রদূত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করে নিজ ব্যক্তিত্ব ও নেতৃত্ব গুণে হয়ে উঠেন অসাধারণ। একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র সৃষ্টির কারিগর। মা বাবা আদর করে ডাকতেন খোকা বলে। মা বাবার আদরের খোকাই সময়ের পথ পরিক্রমায় হয়ে উঠেন আপামর বাঙালির অকৃত্রিম সুহৃদ বঙ্গবন্ধু।

হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার গল্প আমরা বইতে পড়েছি বঙ্গবন্ধুকে দেখে সেটার বাস্তব রূপ প্রত্যক্ষ করেছি। যাঁর ডাকে সমস্ত বাঙালি অনায়াসে প্রবল বিশ্বাসে ছুটে গিয়েছেন এবং হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালিকে মুক্ত করে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডকে প্রতিষ্ঠা করে স্বাধীনতার স্বাদ লাভ করেছে। যাঁর অসাধারণ সুনিপুণ নেতৃত্বে বাঙালি আজ স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে ঠাঁই করে নিয়েছে তিনিই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। হে পিতা তুমি আছ মিশে বাংলার আকাশে বাতাসে সবুজ শ্যামল প্রান্তরে। তুমি আছ বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের অন্তরে জাগ্রত চেতনার শাশ্বত প্রদীপ হয়ে। তুমি আছ ইতিহাসের প্রতিটি পাতায় পাতায়। সে ইতিহাস কি কভু ভুলা যায়! কবির ভাষায়, ‘একই হাসিমুখে বাজায়েছি বাঁশি, গলায় পরেছি ফাঁস,/ আপোস করিনি কখনোই আমি, এই হলো ইতিহাস।/ এই ইতিহাস ভুলে যাবো আজ, আমি কি তেমন সন্তান?/ যখন আমার জনকের নাম শেখ মুজিবুর রহমান’। জন্মদিনে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি হে পিতা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটুঙ্গিপাড়ার ছেলে
পরবর্তী নিবন্ধজাতির জনকের জন্মবার্ষিকী