সোমবার বিকেল থেকে রং বদলাতে থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের। শোকের চিহ্ন হিসেবে ব্যবহার হওয়া কালো রঙে ছেয়ে যায় ফেসবুক ব্যবহারকারীদের প্রোফাইলের একটি অংশ। তবে শোকের চিহ্নটি এখানে প্রতিবাদের ভাষা।
নোয়াখালীতে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনসহ সারা দেশে একের পর এক ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে এ পথ বেছে নিয়েছেন ফেসবুক ব্যবহারকারীদের একটি অংশ। এই নীরব প্রতিবাদের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের দাবি জানাতেও ভুলেননি নানান শ্রেণি-পেশার মানুষ। সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মীরা তো আছেনই, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও সরকারি চাকরিজীবীসহ সমাজের সব পর্যায়ের মানুষ এই নীরব প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। ফেসবুকের প্রোফাইল বদলানোর বিষয়ে জানতে চাইলে এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, সরকারি চাকরিতে থাকায় এ ধরণের ঘটনার প্রতিবাদে স্বশরীরে অংশ নিতে পারছি না। কিন্তু এ ধরণের ন্যাক্কারজনক ও জঘন্য ঘটনার প্রতিবাদ না করলে নিজের বিবেকের কাছেই অপরাধী হয়ে থাকবো। তাই ফেসবুককেই বেছে নিয়েছি। প্রতিবাদস্বরুপ প্রোফাইল পাল্টে ফেলেছি।
দুর্বৃত্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে সরকারি হাসপাতালে কর্মরত এক চিকিৎসক বলেন, নিজের অবস্থান থেকে রাস্তায় নামতে পারছি না। রাস্তায় নামলে হয়তো সরকারের কিংবা সরকারি দলের রোষানলে পড়তে হবে। তাই বলে আমি কি প্রতিবাদ করব না? আমি প্রতিবাদের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ফেসবুককেই বেছে নিয়েছি। নারী নিপীড়কদের কঠোর শাস্তি চেয়ে তিনি বলেন, আমাদের এ প্রতিবাদ যেন রাষ্ট্রকে নাড়া দেয়। ক্ষমতাবানদের আশ্রয়-প্রশ্রয়েই নিপীড়করা ভয়ংকর হয়ে উঠছে। রাজনীতি বা দলের আশ্রয় না পেলে তারা এমন সাহস করতে পারতো না। কোন নিপীড়ক যেন রাজনীতি ও দলের আশ্রয়ে ছাড় না পায়। যে দলেরই হোক, দুর্বৃত্তদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে নীরবেই যেন সরব ফেসবুক।