শৈশবের ঈদ স্মৃতি

মর্জিনা হক চৌধুরী পপি | রবিবার , ১ মে, ২০২২ at ৭:৩৪ পূর্বাহ্ণ

ঈদ শব্দটা শুনলে হৃদয়ে অন্যরকম অনুুভূতি কাজ করে। সব দুঃখ কষ্ট ভুলে যে যার সাধ্যমত খুশিতে মেতে উঠে। ছোট বড় সবাই যার যার অবস্থান থেকে ঈদকে হৃদয়ে গেঁথে নেয় এবং সকলের সাথে সমান তালে বিনোদনে সামিল হয়। তবে সবার জীবন শৈশব দিয়ে শুরু হয়। শৈশবের ঈদ হৃদয়ে আলাদা জায়গা করে নেয়। প্রত্যেক মানুষের জীবনেই শৈশবের ঈদ স্মৃতি রয়েছে। আমার জন্ম শহরে। তাই গ্রামের ঈদের চেয়ে শহরের ঈদে শৈশব কাটানো আমার হৃদয়ে অন্যরকম অনুুভূতি কাজ করে। খুব কম ঈদ করেছি গ্রামে। যখনই করেছি ওটার আনন্দ অনুুভূতি ছিলো ভিন্ন। এক মাস সিয়াম সাধনার মধ্যে চলে ঈদের কেনাকাটার ধূম। উৎসবমুখর পরিবেশে। ঈদ কার্ড ছিলো একটা বিশেষ বিনোদন। তবে বাজারে কেনা ঈদ কার্ডের চেয়ে নিজে বানানো ঈদ কার্ডাটাতেই বেশী আনন্দ পেতাম। সময়ের বিবর্তনে সেই কার্ড আজ বিলুপ্ত। রোজা শেষের দিকে বাড়তে থাকে ঈদের চাঁদ দেখার প্রতিক্ষা। রোজা ২৯ শে হবে নাকি ৩০ শে হবে এ নিয়ে চলত নানা ভাবনা। সন্ধ্যার আকাশে নতুন ঈদের চাঁদ দেখার সে কী আনন্দ তা বলে বুঝানো যাবে না। বাড়ির ছাদে, মাঠে ঘাটে সবাই ঈদের চাঁদ দেখার জন্য মশগুল হয়ে পড়ত। আর টিভি থেকে ভেসে আসতো সেই সুর সেই চেনা গান ‘ও মোর রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ, তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানি তাগিদ’। জীবনের তাগিদে হারিয়ে যায় শৈশবের সেই আনন্দঘন রঙিন দিনগুলো। তবুও ঈদ বয়ে আনুক শান্তি ও অনাবিল আনন্দ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমে দিবস : শ্রমিকের অধিকার আদায়ে রক্তাক্ত সংগ্রামের ইতিহাস
পরবর্তী নিবন্ধঈদ মানে অনাবিল আনন্দ