শেখ রাসেল অনূর্ধ্ব-১২ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০ দিনেও পুরস্কার পায়নি ক্রিকেটাররা

ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোমবার , ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৫:২৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ক্রীড়া বিভাগ আয়োজিত শেখ রাসেল অনূর্ধ্ব-১২ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শেষ হয়েছে ২০ দিন হতে চলল। কিন্তু এখনো এই সব শিশুদের হাতে পুরস্কার উঠেনি। পরে অনুষ্ঠান আর মেজবান করে বাচ্চাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন তেমনটি ঘোষণা দিয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালের দিন পুরস্কার বিতরণ করা হয়নি। কিন্তু বিশ দিন পার হয়ে গেলেও এখনো সে পুরস্কার বিতরণের কোন খবর নেই। ফলে যারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাদেরও যেন আগ্রহ হারিয়ে গেছে। তারাও যেন এখন আর এই পুরস্কার নিয়ে মাথা ঘামাতে চায়না। হয়তো তারা ধরেই নিয়েছে আর মিলবেনা সে পুরস্কার। প্রথমে বলা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে ভার্চুয়ালি অতিথি করে পুরস্কার প্রদান করা হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন অনেকেই। শোনা গেছে এই টুর্নামেন্টের যিনি আয়োজক সেই দিদারুল আলম চৌধুরী নাকি এখন অতিথি খুঁজছেন। কখনো মন্ত্রী, কখনো যুবলীগের সভাপতি আবার কখনো ঢাকার মেয়র এসব নাম শোনা যাচ্ছে। কিন্তু তাতে যেন বাচ্চাদের হতাশা আরো বাড়ছে।
এরই মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার কারনে বেশ কিছু স্কুল বন্ধ রয়েছে। আর কদিন পর শুরু হবে দুর্গা পুজা। এরই মাঝে শুরু হতে পারে পরীক্ষা। আর এ সবের মাঝে এই পুরষ্কারের জন্য কারা আসবেন সেটা আয়োজক যিনি আছেন তিইি ভাল বলতে পারবেন। টুর্নামেন্টের পুরস্কার ২০ দিনেও দেওয়া হয়নি। এর নিয়ে চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গণে চলছে নানা টিপ্পনিও। কেউ কেউ বলছেন অতিথি কাকে করবেন তা নিয়ে কঠিন সমস্যায় আছেন দিদারুল আলম চৌধুরী। কারন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থায় যেহেতু সব খেলাধুলার প্রধিান অতিথি হয়ে থাকেন সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক তাই তার বলয়ের বাইরের কাউকে এনে অতিথি করতে পারবেননা দিদারুল আলম চৌধুরী। তাই তিনি পড়েছেন এক রকম বিপাকে। তবে সবচাইতে বড় বিপাকে তিনি ফেলে দিয়েছেন কোমলমতি শিশুদের। তারা নিশ্চয়ই এতদিনে বুঝে গিয়েছে কেমন সংগঠকরা এখন খেলাধুলা চালায়। নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য যিনি কোমলমতি শিশুদের বঞ্চিত করতে পারেন তাদের সম্পর্কে নিঃসন্দেহে ধারণাটা খুব একটা সুখকর হওয়ার কথা নয়। তিনি যে মিলন মেলা করতে চেয়েছিলেন সে মিলন মেলায় যে হতাশার সুর বেজে উঠেছে সেটা বেশ ভালই বুঝা যাচ্ছে। বিশ দিন পার হয়ে গেছে। এখন আরো কতদিন পার হয়ে যায় সেটা তিনিই ভাল বলতে পারবেন। টুর্নামেন্ট শেষ হয়েছে বিশদিন পার হয়ে গেলেও এখনো সে টুর্নামেন্টের ব্যানার ফেস্টুন ঝুলছে স্টেডিয়াম জুড়ে। কেউ সরানোরও সাহস পাচ্ছেনা। গতকাল যেমন ফুটবলের এক কর্মকর্তা বললেন এই ব্যানার ফেস্টুন গুলোর জন্য আমরা ফুটবলের ব্যানার লাগাতে পারছিনা। কিন্তু এগুলো সরালে তিনি আবার কোথায় কার নামে চিটি দিয়ে দেয় কে জানে। অথচ ব্যানার ফেস্টুন গুলো বৃষ্টিতে ভিজছে আর রোদে পুড়ে ছিড়ে যাচ্ছে। কিন্তু কেউ সরানোর সাহস করছেনা। কারনটা শেখ রাসেলের প্রতি সম্মান নয়। কারন একটাই। আর তা হচ্ছে দিদারুল আলম, চৌধুরীর চিটি। এখন দেখার বিষয় আর কতদিন পর এইসব কোমলমতি শিশুদের হাতে পুরস্কার উঠে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সিরিজ পিছিয়ে গেল
পরবর্তী নিবন্ধআবুধাবি টি-টেন লিগের প্লেয়ার্স ড্রাফটে তামিম