বৌদ্ধ ধর্ম প্রাচীনতম ধর্ম সমূহের অন্যতম। সিদ্ধার্থ গৌতম এর প্রবর্তক। খ্রীস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতকে তাঁর শিক্ষা ও উপদেশকে কেন্দ্র করে এই ধর্মের উদ্ভব ঘটে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় উৎসব রয়েছে তার মধ্যে যে ধর্মীয় উৎসবটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে তা হলো বৈশাখী পূণিমা অর্থাৎ মহান ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’। মহা কারুণিক তথাগত সম্যক সমুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্বলাভ, এবং মহাপরিনির্বান এই ত্রিমহান ঘটনা বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে ঘটে। ৫৬৩ খ্রীস্টব্দের এই দিনেই কুমার সিদ্ধার্থ কপিলাবস্তুর লুম্বিনী কাননে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের সাথে সাথেই তিনি হেঁটেছিলেন। প্রস্ফুটিত সপ্ত পদ্মে পা রেখে তর্জনী উঁচিয়ে বলেছিলেন আমি আর্য্য, আমি শ্রেষ্ঠ! ৮০ বছর বয়সে ভগবান সম্যক সম্বুদ্ধ কুশীনগরস্থ মল্লগণের শালোদ্যানে যমকশাল তরুর মধ্যস্থলে উত্তর শীর্ষ হয়ে প্রত্যুষে মহাপরিনির্বাণই লাভ করেন মহান বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে। অর্থাৎ বুদ্ধ পূর্ণিমার এই দিনে। তাই আমাদের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই ত্রিস্মৃতি বিজড়িত মহান ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’ বিশেষ তাৎপর্যময় এবং অতীব গুরুত্বপূর্ণ। বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন সমস্ত বিহারে বিহারে পূজা, উপাসনা করা হয়। শীল, সমাধি, প্রজ্ঞার মাধ্যমে অতীব শ্রদ্ধার সাথে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এই দিনটি বিশেষভাবে পালন করে থাকে। আজকের এই দিনে মহামানব গৌতম বুদ্ধের চরণে শতকোটি বন্দনা নিবেদন করছি। পৃথিবী আজ অসুস্থ। পৃথিবী যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে সেই আশীর্বাদ প্রার্থনা করছি।