শুনানিতে যা হলো

| মঙ্গলবার , ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২ at ১০:১৮ পূর্বাহ্ণ

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা, একজন আইনজীবী, একজন শিক্ষানবীশ আইনজীবী, চার নারী বিএনপি কর্মীসহ ২২৪ জনের পক্ষে জামিন চাওয়া হয়। এজলাস ও বারান্দা মিলিয়ে বিএনপিপন্থি আইনজীবী ছিলেন অন্তত তিনশ জন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ১৫ জনের মত। শুনানির আগে এজলাসের মধ্যেই বিএনপিপন্থি কনিষ্ঠ আইনজীবীদের কয়েকজনের মোবাইল ফোনে সেলফি ছবি তোলার হিড়িক চলে। জ্যেষ্ঠ কয়েকজন তাদের থামাতে গিয়েও ব্যর্থ হন। খবর বিডিনিউজের।

তুমুল হৈ চৈ আর হট্টগোলের মধ্যে শুনানিতে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের নাম এজাহারে নেই। এজহারভুক্ত দুই আসামি জামিনে রয়েছেন। সহ আসামিদের শর্তে তারা জামিন পেতে পারেন। বিজয়ের মাস ডিসেম্বর চলছে। তারা মুক্তি পেয়ে শহীদদের সম্মান জানাবেন। বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামের পক্ষে জামিন চেয়ে এ আইনজীবী বলেন, খোকন অসুস্থ, আর সালাম একজন আইনজীবী এবং মুক্তিযোদ্ধা।

কারাগারে থাকা অন্য আসামিদের রাজনৈতিক পরিচয়, তাদের পদমর্যাদা, তাদের বিভিন্ন কাজ আদালতের সামনে তুলে ধরেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার। এ সময় বিভিন্ন আসামির জন্য বিভিন্ন আইনজীবী শুনানি করতে গেলে এজলাসে বিশৃক্সখলা সৃষ্টি হয়। মাসুদ আহমেদ তালুকদার সবার পক্ষে নিজেই শুনানি করে দিচ্ছেন বলার পর অন্য আইনজীবীরা শান্ত হন। পরে এজাহারের বক্তব্য খণ্ডন করে বক্তব্য দেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার।

তিনি বলেন, মামলার প্রকৃত ঘটনার সঙ্গে দণ্ডবিধি ও বিস্ফোরক আইনের সংশ্লিষ্ট ধারার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় না। একজন সাংবাদিক বিস্ফোরকের ভিডিও ধারন করেন। সেখানে দেখা যায় পুলিশ নিজেরাই ওই বিস্ফোরক বিএনপি কার্যালয়ে এনে রেখে যায় । সে কারণে মামলার ঘটনাটি বানানো। বিএনপির সমাবেশ বানচাল করার জন্য এই মিথ্যা মামলা।

শুনানিতে জামিনের বিরোধতা করেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি আবু আবদুল্লাহ, কে এম সাজ্জাদুল হক শিহাব, আজাদ রহমানসহ কয়েকজন আইনজীবী। দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ শুনানি চলে। শুনানি শেষে জামিন নাকচ হয়ে গেলে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা মিছিল করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরোজার পণ্য আমদানিতে রিজার্ভ থেকে ডলার চায় এফবিসিসিআই
পরবর্তী নিবন্ধফখরুল-আব্বাসসহ ২২৪ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর