শুধু কাদেরকে দিয়ে মিটিং করেন, দেখেন কী পরিমাণ লোক হয়

পলোগ্রাউন্ডের সমাবেশ নিয়ে শাহাদাত

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৩০ অক্টোবর, ২০২২ at ৫:৩৪ পূর্বাহ্ণ

পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সমাবেশ করলে লোকসমাগম হবে না বলে দাবি করেছেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। ক্ষমতাসীন দলকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি বলেন, গত ১২ অক্টোবর আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া সমাবেশ করেছি। আপনারা শেখ হাসিনা ছাড়া শুধু ওবায়দুল কাদের দিয়ে মিটিং করেন, দেখেন কী পরিমাণ লোক হয়। এখন থেকে খবর পাচ্ছি, সামনের সমাবেশকে ঘিরে আওয়ামী লীগ নাকি বিরানির দোকানে অর্ডার দিয়ে রাখছে। আমরা এসব করিনি। তারপরও জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে আমাদের সমাবেশ।

গতকাল বিকালে নাসিমন ভবন বিএনপি কার্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বুধবার দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিলে পুলিশ হামলা করেছে দাবি করে এর প্রতিবাদে এবং আহ্বায়ক মনজুর আলম তালুকদারসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল। সভাপতিত্ব করেন নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান। পলোগ্রাউন্ড মাঠে অনুষ্ঠিত বিএনপির সমাবেশে লোকসমাগম নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে শাহাদাত বলেন, আমাদের সমাবেশে কী পরিমাণ লোক হয়েছে তা বলতে ওবায়দুল কাদের, চট্টগ্রামের মন্ত্রী-এমপি ও নারায়ণগঞ্জের শামীম ওসমানকে আমরা দায়িত্ব দিই নাই। জনগণ তো দেখেছে কত লোক জমায়েত হয়েছিল। সকাল থেকেই মাঠে লোক আসা শুরু করে। পলোগ্রাউন্ড মাঠ পূর্ণ হয়ে নিউ মার্কেট, সিআরবি, কাজীর দেউড়ি, টাইগারপাস পর্যন্ত মানুষের ভিড়ে যাওয়া যাচ্ছিল না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে তিনি বলেন, যেসব জায়গা বলেছি সেগুলো মেপে দেখেন। আপনাদের গণনায় বুঝতে পারবেন সেদিন চট্টগ্রামে কী পরিমাণ মানুষ জমায়েত হয়েছে। আমরা বলছি ১০ লাখের অধিক, কিন্তু জনগণ বলছে আরও বেশি। সেদিন মানুষ না খেয়ে, রোজা রেখে যে যেভাবে পেরেছে সমাবেশে যোগ দিয়েছে। এর মধ্যেও আসার পথে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। আমরা দেখতে পাব ৪ ডিসেম্বর বিরানির প্যাকেট রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকবে। নারায়ণগঞ্জে তারা একটি সমাবেশ করেছেন, সেখানে চেয়ার ছিল লোক ছিল না।

আবুল হাশেম বক্কর বলেন, প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জোর করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে আছে আওয়ামী লীগ। এ সরকার বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে ভয়াবহ দুঃশাসনের জঘন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

মীর হেলাল বলেন, জোর করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকারের জুলুম নির্যাতনের মাত্রা এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চলমান নির্যাতন, নিপীড়নের ধারাবাহিকতায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাদের কারাবন্দি করে রেখেছে।

নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সরওয়ার উদ্দিন সেলিম, সদস্য সচিব আকবর আলী, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জমির উদ্দিন মানিক, জিয়াউর রহমান জিয়া, জমির উদ্দিন নাহিদ, সিরাজুল ইসলাম ভুইয়া ও গোলাম সরোয়ার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপলোগ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা হবে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল হবে বিশ্বমানের