আমাদের দেশের সব পাহাড়ই চাঁদের পাহাড়। পূর্ণিমার রাতে যে কোনো পাহাড়কে চাঁদের পাহাড় ভাবা দোষের নয়। আর হালকা কুয়াশা থাকলে কথাই নেই। দর্শনার্থীর চক্ষু খুশিতে তাল বেতাল। বর্তমান সময়ের আমেজ রূপ পরিগ্রহ যেন এক মনোরম বিজলী বরণ সৌহার্দ্য। মোদ্দা কথায় পাহাড়ের আঁচল। বয়ে শৃঙ্খলিত মৌন প্রেম–ভালোবাসার নিশি যাপনে প্রকৃত সময়। সুন্দরবন, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন, সাজেক ভ্যালি, রাঙ্গামাটি, সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ, বাড়ব কুণ্ডের সীতার অগ্নিদাহ, চট্টগ্রামের ফরেস্ট গবেষণাগার সহ বেশ কিছু ভ্রমণ পিয়াসী স্থানের প্রকৃতি নয়নাভিরাম সৌন্দর্য, দৃষ্টি কেড়ে মন ছুঁয়ে দেয়। আবেগ অধরা বন্ধনে নির্যাস নেয়। শীতের সময় ভ্রমণ রোমাঞ্চকর। বর্ষায় পাহাড় বেশি পিচ্ছিল থাকে, গ্রীষ্মে গরমের তাপদাহ। তাই শীতে অ্যাডভেঞ্চার নেশায় ভ্রমণ পিয়াসী সৌখিন মনোভাবে অভিযাত্রীরা রাতে সব পাহাড়কে চাঁদের পাহাড়েই ভাবতে কুণ্ঠিত হয় না। তাই বর্তমান সময় সুযোগকে কাজে লাগান—বেরিয়ে পড়ুন।
তুমুল রোমাঞ্চকর স্নিগ্ধ পরিবেশ ও গন্ধ না পেলে ভ্রমণ জমে না। যেসব পাহাড়ে হাঁটতে কষ্ট, চলতে কষ্ট, সেখানে দল বেধে ট্রেকিং করুন। অভয়ে রোমাঞ্চিত ভাবনায় সাধনে লেগে যান। দল বেঁধে কাজ করার আনন্দ ও অনুভূতি আলাদা।
পাহাড়ে ট্যুর নিয়ে যতটুকু ভাবনার পরিসর, তা আমার ছেলে আজমাঈন সাদমানের অল্প স্বল্প গল্প শুনেই অর্জন। পাহাড়, সৈকত, স্রোতধারার নিমজ্বিত সোপানে তার নিত্য আনাগোনা। আবেগ নির্ভর হয়ে ছুটছে কুয়াকাটা, বরিশাল, সুন্দরবন, সিলেট, কুমিল্লা, সেন্ট মার্টিনসহ বাংলাদেশের সব অঞ্চলে। ট্যুর এর পর ট্যুর। নেশায় উন্মুক্ত যোজন। তার কথা–যে কোনো পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য ট্যুর। বা ট্রেকিং একটা ভালো উপায়। ফলে বিভিন্ন পরিস্থিতি মানিয়ে নিতে সাহস ও সামর্থ সৃষ্টি করে। সম্ভব হয়, দেশের সবুজের অরন্যের গুহায় নয়ন জুড়ানো চাঁদের পাহাড় ঘুরে ঘুরে অর্জন করুন নানা অভিজ্ঞতা।