শিশু বলাৎকার বন্ধ করতে হবে

| শনিবার , ২০ মার্চ, ২০২১ at ৫:৫২ পূর্বাহ্ণ

প্রত্যেক সমাজেই শিক্ষকের মর্যাদা সবার ওপরে থাকে। শিক্ষক জাতিকে মানুষ সম্মান করে। মানুষ বিশ্বাস করে, একমাত্র শিক্ষকরাই হলেন আদর্শ জাতি গড়ার কারিগর। আর তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আমাদের কোমলমতি শিশু-বাচ্চাদেরকে ভর্তি করা হয় মানুষের মতো মানুষ হবার জন্য। সু-শিক্ষিত হয়ে সুন্দর আগামী বিনির্মাণ ও সুশীল সমাজ গঠনের জন্য। আমাদের দেশে সাধারণত প্রাইমারি ইশকুল, ইবতেদায়ি মাদরাসা ও মক্তবসমূহেই শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার হাতেখড়ি হয়ে থাকে। এখানকার শিক্ষাব্যবস্থা যত উন্নত হবে, শিক্ষকগণ ছাত্রদের প্রতি যত আদর্শিক, স্নেহশীল ও দায়িত্ববান হবেন, ছাত্রসমাজ ততই যোগ্য আর নীতিবান হয়ে বেড়ে ওঠবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, সমপ্রতি বাংলাদেশে প্রাইমারি ইশকুল, মাদরাসা ও মক্তবসমূহে শিক্ষকগণ শিশু ছাত্রদেরকে ন্যায়-নীতি ও আদর্শ শিক্ষার বিপরীত তাদের সঙ্গে হিংস্র হয়ে যৌনাচরণ করেন। নিজের সন্তানতুল্য ছাত্রদের সঙ্গে তারা বলাৎকারে লিপ্ত হন! ফলে অবুঝ শিশুরা কাউকে কিছু বলতে না পেরে পড়ালেখার প্রতি দিনদিন অমনোযোগী হয়ে ওঠছে। অনেক শিশুরা তো এখন আবার ভয়ে স্কুল-মাদরাসায় যেতে-ই চায় না। এতে করে দেশে বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় একটি অসুস্থ শ্রেণির মানুষ বেড়ে ওঠছে। গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুকালে বলাৎকার হওয়ার ক্ষোভ থেকেই বড় হয়ে এসব শিশুদেরই একটি বৃহৎ অংশ ধর্ষণ, খুন, মাদক, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসীতে লিপ্ত হয়। বিভিন্ন কুকর্মের জন্ম দেয়। শিক্ষা আর শিক্ষক জাতির প্রতি তারা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ফলে সমাজে হরেক রকম বিশৃঙ্খলার আবির্ভাব ঘটে।
তাই সুন্দর ও সমৃদ্ধির দেশ গঠনে শিশু বলাৎকার বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে ইশকুল ও মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডসহ সকলের সতর্ক দৃষ্টি রাখা চাই!
– আবু তালহা রায়হান, গোয়াইনঘাট, সিলেট।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহেনরিক ইবসেন : আধুনিক ইউরোপীয় নাটকের পথিকৃৎ
পরবর্তী নিবন্ধবাড়ছে মশার উপদ্রব