শিশুর সাথে কোন ধরনের কথাগুলো বলা দরকার, কিভাবে বলা দরকার, কোন বিষয়গুলো তার আত্মবিশ্বাসকে আরো বাড়িয়ে, তাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে, তা নির্ভর করে অভিভাবকের ওপর। যেকোনো সমস্যায় শিশুকে সহায়তা করা। তাতে তার আত্মবিশ্বাস জাগ্রত হয়, সে নতুন নতুন ধ্যানধারণা ও সৃজনশীল চিন্তায় গড়ে ওঠে। শিশু সামাজিক রীতিনীতি ও চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়। শিশুর প্রতিটি কথার উত্তর দেওয়া খুব জরুরি। বয়স ও ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী শিশুর সাথে মা – বাবার বন্ধুত্ব করা উচিত। এতে শিশুর চারপাশে জগৎ অনেক সহজ হয়ে যায়। কেননা সে তার মনের অভিব্যক্তিগুলো প্রকাশ করার জন্য সে সঙ্গী খুঁজে পায়। লেখাপড়ার পাশাপাশি শিশুকে অন্যান্য সৃজনশীল কাজে আগ্রহী করা প্রয়োজন। হঠাৎ শিশু যদি চুপচাপ হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে, গভীরভাবে শিশুর মনের অবস্থা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে, সকলেই অনেক ব্যস্ত সময় পার করছি আমরা।দেখা যায় প্রায় প্রতিটি ঘরেই, মা, বাবা উভয়েই কর্মজীবী।এই ধরনের পরিবারে শিশুরা একাকীত্ব বোধ করে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে পারে। অতিরিক্ত ডিভাইসমুখী হতে পারে, এতে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে অবনতি ঘটে। তাই শিশুকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া উচিত। শিশুর সুস্থ বিকাশ ঘটানোর জন্য তার মনের যত্ন নেওয়া খুব প্রয়োজন। তাকে আবিষ্কার করতে হবে। সবসময় শিশুর সাথে সহানুভূতিশীল আচরণ করা উচিত। তবেই শিশুরা সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠবে ও সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে বিশেষ অবস্থানে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে সক্ষম হবে এবং একটি উন্নত রাষ্ট্র আমাদের উপহার দিতে পারবে।












