শিশুদের নাগালে বই রাখুন, মোবাইল নয়

| শুক্রবার , ৪ মার্চ, ২০২২ at ৬:৩১ পূর্বাহ্ণ

শিশুদের মনটা কোমল। কোমলমতি শিশুরা আশে পাশের পরিবেশ থেকে তাদের মেধা ও মনন বিকাশের উপকরণ সংগ্রহ করে। তাই শিশুদের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ যাতে শিশুবান্ধব হয় সেদিকে অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে। বর্তমান সময়ে লক্ষ্য করা যায়, মোবাইল ফোন শিশুদের নিকট বেশী আকর্ষণীয়। এর কারণ হল, মোবাইল ফোনের সহজ ব্যবহার। আঙ্গুলের চাপে এক জগত থেকে অন্য জগতে সহজেই পদার্পণ। যেটা শিশুদের মনে খুব বেশী প্রভাব সৃষ্টি করে। শিশু মনস্তাত্ত্বিকদের মতে, এন্ড্রয়েড সেটের ক্ষতিকর প্রভাব শিশুদের মনোজগতে এক বিস্ময়কর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। মোবাইলে পাওয়া অলিক জগতটাকে শিশুরা বাস্তবে অতি সহজে পেতে চায়। যা শিশুদের অবাস্তববাদী ও অলস করে তোলে। এছাড়া অসতর্কতার কারণে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য নিউজগুলো শিশুদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। বিভিন্ন প্রকার মোবাইল গেম শিশুদের মধ্যে এতবেশী আসক্তি গড়ে তোলে যে, তা শিশুদের মনোজগতে পাকাপোক্ত স্থান করে নেয়। ফলে পড়ালেখার প্রতি শিশুরা অমনযোগী হয়ে পড়ে। শিশু বয়স থেকে কৈশোরে পা দেওয়া ছেলেমেয়েটি তখন এই আসক্তি থেকে মুক্ত হতে পারে না। শিশুরা আগামী প্রজন্মের সম্পদ। তাই অভিভাবকদের উচিত, শিশুদের থেকে মোবাইল সেট দূরে রাখা। পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষামূলক বই শিশুদের খুব কাছাকাছি রাখা। শিশুবিষয়ক গল্পের বই, অনুপ্রেরণা মূলক গল্পের বই শিশুদের পড়তে বাধ্য করা। এতে শিশুদের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠবে। বইপড়া থেকে অর্জিত সাধারণ জ্ঞান শিশুরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা জীবনেও কাজে লাগাতে সক্ষম হবে। বই পড়ার অভ্যাস স্কুল জীবনে পাঠ্যবই পড়ার ক্ষেত্রেও অনুপ্রাণিত করবে। তাই শিশুদের নাগালে মোবাইল নয়, বই রাখুন।
শাহ নেওয়াজ,
মধ্যম হালিশহর, চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর : সাহিত্য শিল্প ও সংস্কৃতিতে স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব
পরবর্তী নিবন্ধসুখ আর সুখ