ধীরে ধীরে জমে উঠতে শুরু করেছে নগরীর ঈদ বাজার। তবে বর্তমানে অধিকাংশ অভিভাবক শিশুদের জন্য কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এছাড়া পাঞ্জাবির দোকানগুলোতে তরুণদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, মার্কেটগুলোতে পোশাকের বাড়তি দাম নিচ্ছে বিক্রেতারা। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, ব্যবসায় আগের তুলনায় খরচ বেশি বেড়ে গেছে। অপরদিকে প্রতি বছরের মতো বিদেশি পোশাকে সয়লাব হয়ে গেছে ঈদ বাজার। বিশেষ করে ভারত এবং পাকিস্তানি পোশাক বাজার দখল করে রেখেছে।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে নগরীর টেরিবাজার, রিয়াজুদ্দিন বাজার, নিউমার্কেট, জহুর হকার্স মার্কেট, তামাকুমণ্ডি লেইন, ভিআইপি টাওয়ার, আমিন সেন্টার, ইউনেস্কো সেন্টার, সেন্ট্রাল প্লাজা, আফমি প্লাজা, বালি আর্কেড, ফিনলে স্কয়ার, ফিনলে সাউথ সিটি এবং শপিং কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা গেছে, বিক্রেতারা ক্রেতাদের পোশাকের সংগ্রহ দেখাচ্ছেন। ক্রেতারাও পছন্দের পোশাকটি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন। নগরীর বহদ্দারহাট এলাকার ফিনলে সাউথ সিটিতে পরিবার নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী ফরিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, মেয়ের জন্য ফ্রক, স্ত্রীর জন্য শাড়ি এবং আমার জন্য একটি পাঞ্জাবি কিনেছি। যদিও ঈদের বাজার এখন পর্যন্ত সেভাবে জমে উঠেনি।
চকবাজার এলাকার বালি আর্কেডে আসা গৃহিনী সুলতানা রাজিয়া বলেন, মার্কেটে এখন ভিড় কম। তাই একটু আগে ছেলে মেয়েদের জন্য কেনাকাটা সারতে এসেছি। তবে দাম গত বছরের চেয়ে একটু বেশি।
অপরদিকে দেশীয় উদ্যোক্তারা জানান, নগরীর টেরিবাজার এবং রিয়াজুদ্দিনসহ বিভিন্ন বড় বড় শপিংমল জুড়ে বিদেশি পণ্যের আধিক্য। এসব পণ্যের প্রতি আমাদের দেশের মানুষের আবার আগ্রহও বেশি। দেশীয় উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, অধিকাংশ পণ্যই আসেই কর ফাঁকি দিয়েই। তাই ব্যবসায়ীরা কম দামে চাইলেই এসব পণ্য বিক্রি করে দিতে পারেন। জহুর হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব মো. ফজলুল আমিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, জহুর হকার্স মার্কেটে সব শ্রেণীর ক্রেতাদের আনাগোনা থাকে। কারণ এখানে ক্রেতারা সুলভ মূল্যে ভালো পণ্যটি পেয়ে থাকে। তাই জহুর হকার্স ক্রেতদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে। ঈদের মার্কেটের কথা বলতে গেলে, মার্কেট পুরোপুরি জমে উঠতে আরো সপ্তাহ খানেক সময় লাগতে পারে। তারপরেও এখনও আশাব্যঞ্জক ক্রেতারা আসছেন।
তামাকুমণ্ডি লেইন বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক দৈনিক আজাদীকে বলেন, ঈদের বাজার ধীরে জমে উঠতে শুরু করেছে। মার্কেটে ক্রেতা সমাগম আগের তুলনায় বাড়ছে।
টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর বলেন, টেরিবাজারে মধ্যরাত পর্যন্ত ক্রেতাদের আনাগোনা থাকছে। ভালো মানের পোশাকের জন্য টেরিবাজারের আলাদা খ্যাতি রয়েছে। আমরাও ক্রেতাদের সেই আস্থা ধরে রেখেছি।