শিশুদের কাঁধের বোঝা কমানো হউক

সেলিম তালুকদার আকাশ | বুধবার , ২৩ নভেম্বর, ২০২২ at ৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ

ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা মনের আনন্দে নেচে গেয়ে স্কুলে যাবে এটাই হওয়ার কথা। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক বর্তমানে বেশীরভাগ ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ভোর বেলাঘুম থেকে উঠে খেয়ে না খেয়ে কাঁধে বড় একটি ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যাওয়ার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে । বয়সের তুলনায় তার বই খাতার সংখ্যা এতো বেশী পরিমাণ হয়, যার বোঝা কাঁধে বইতে পারেনা অনেক শিশু। উচ্চবিত্তরা শিশুটির সাথে ব্যাগ বহন করার জন্য অন্য একজন লোককে সাথে পাঠিয়ে দেয়।

মধ্যবিত্ত ও গরীব হলে শিশু নিজেকেই বহন করতে হয় এই ব্যাগ। আবার কখনো কখনো অবিভাবকে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে যেতেও দেখা যায়। কে জি স্কুলগুলিতেএই সমস্যাগুলি অত্যন্ত বেশী পরিলক্ষিত হয়। প্লে থেকে শুরু করে প্রাথমিক শাখার বাচ্চাদেরকে দেয়া হচ্ছে অপ্রয়োজনীয় অনেক বই, খাতা। যার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় প্রায় বইই মানহীন ও অপ্রয়োজনীয়।

বোর্ডের বই ছাড়া অনেকগুলি বই দেয়া হয় বাচ্চাদের জন্য, যার ব্যবসা করে স্কুল কর্তৃপক্ষ আর তার অপ্রয়োজনীয় ভার বহন করতে হয় বাচ্ছাদের। এতো সব বই পড়তে গিয়ে বাচ্চাদের ব্রেইন এ চাপের সৃষ্টি হতে পারে, তাতে শিশুর মেধাবিকাশে অকল্পনীয় ক্ষতির সম্ভাবণা আছে। অহেতুক বইয়ের সংখ্যা না বাড়িয়ে প্রয়োজনীয় ও মানসম্মত কিছু বই বাচ্চাদের জন্য সিলেক্ট করলে তাদের কাঁধের বোঝা অনেকাংশেই কমে যাবে।

এসব কাঁধের বোঝা বহন করতে করতে অনেক শিশু লেখাপড়ার প্রতি অনীহা প্রকাশ করছে। একদিকে বাসায় পড়ার চাপ, অন্যদিকে স্কুলে শিক্ষকদের চাপ, দুইদিকের চাপে বাচ্চারা তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনের ছেয়ে অনেকটা বঞ্চিত হচ্ছে। শুধু তাই নয় অবিভাবককে খরচ করতে হচ্ছে অপ্রয়োজনীয় অর্থ। শিশুদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের কথা চিন্তা করে তাদের কাঁধের বোঝা কমানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার এখনই সময়। তাহলে অন্তত আগামী শিক্ষাবর্ষে ২০২৩ সাল থেকে শিশুরা কাঁধের বোঝা কমিয়ে নেচে গেয়ে অতি উৎসাহে তাদের সোনালী সময়গুলি উপভোগ করতে পারবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনিজদেশের সম্মান রেখে ভিনদেশকে সমর্থন করা হোক
পরবর্তী নিবন্ধশিশুর চিন্তাশক্তি বিকাশে…