শিশুকে সুস্থ রাখতে জন্মের পর প্রথম ৬ মাস অবশ্যই বুকের দুধ দিতে হবে

অবহিতকরণ সভায় বক্তারা

| রবিবার , ৩০ জানুয়ারি, ২০২২ at ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ

মাতৃদৃগ্ধ বিকল্প আইন ২০১৩ ও এর বিধিমালা ২০১৭, মায়ের দুধের উপকারিতা ও গুড়াঁ দুধের অপকারিতা বিষয়ক অবহিতকরণ সভা গতকাল শনিবার নগরীর জামালখানস্থ চিটাগাং সিনিয়রস ক্লাবের ককটেল লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীরের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. দৃষ্টি শর্মার সঞ্চালনায় সভায় রিসোর্স পারসন বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ, পরিচালক (এমএনসি অ্যান্ড এইচ) ডা. মো. সামসুল হক, জাতীয় পুষ্টিসেবার লাইন ডাইরেক্টর ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ। মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমের মাতৃদৃগ্ধ বিকল্প আইন ২০১৩ ও এর বিধিমালা ২০১৭, মায়ের দুধের অপকারিতা ও গুড়াঁ দুধের অপকারিতা বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় পুষ্টি সেবার ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (ডিপিএম) ডা. শমসের তিবরিজ মুরাদ খান ও ডিপিএম ডা. নন্দলাল সূত্রধর। আলোচনায় অংশ নেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হাসান বারী নূর, সিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আমিনুল ইসলাম রনজিত কুমার শীল। চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের সহযোগিতায় জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান অবহিতকরণ সভার আয়োজন করেন।
সভায় বক্তারা বলেন, জন্মের পরে পরিপূর্ণ সুস্থ সবল শিশুর জন্য মায়ের দুধের কোনো বিকল্প নেই। জন্মের সাথে সাথে মায়ের শাল দুধই শিশুর প্রথম টিকা ও খাবার। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সংক্রামক থেকে শিশুকে দ্রুত রক্ষা করে। সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর খুব দ্রুত শাল দুধ খাওয়ালে মায়ের রক্তক্ষরণ কম হয় ও গর্ভফুল পড়তে সাহায্য করে। ফলে মা রক্তস্বল্পতা থেকে রক্ষা পায়। শিশুকে সম্পূর্ণ সুস্থ রাখতে হলে জন্মের পর পর প্রথম ৬ মাস অবশ্যই বুকের দুধ দিতে হবে। এর পর দুই বছর পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ানোর পাশাপাশি ঘরে তৈরি শিশুর উপযোগী তরল সুষম ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে। তাহলে শারীরিক-মানসিক বিকাশ সাধনসহ শিশুটি বুদ্ধিমান হবে। সন্তান প্রসবের পর কোনো মা মারা গেলে শুধুমাত্র ঐ শিশুকে অন্য মায়ের দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে বা রেজিস্ট্রার্ড শিশু চিকিৎসকেরা তাদের ব্যবস্থাপত্রে কারণ উল্লেখ করে বিকল্প হিসেবে ভালোমানের গুঁড়ো দুধ দিতে পারবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকধুরখীল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সাংস্কৃতিক পরিষদের পথ চলা
পরবর্তী নিবন্ধশুদ্ধ হও আপন আলোয়