শিশিরে শীতের আবাহন

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১ অক্টোবর, ২০২০ at ৪:৫৪ পূর্বাহ্ণ

 

দূর্বাঘাসে ঝরে পড়া শিশির নিয়ে আসছে শীতের আগমনি বার্তা। বৃষ্টি বাদলের কারণে কুয়াশার উপস্থিতি কম থাকলেও ভোরের পথচারিদের পা ভিজিয়ে দিচ্ছে ঘাসে জমাটবাঁধা শিশির। অন্যদিকে দিনের তাপমাত্রা গরম ও রাতের তাপমাত্রা ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। তবে এটিকে শরতের বৈশিষ্ট হিসেবে উল্লেখ করছেন আবহাওয়াবিদরা। আশ্বিনের মধ্যভাগে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিবাদল চলমান রয়েছে। দেশের অনেক স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। গত দুদিন ধরে চট্টগ্রামে ভোররাতে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে ধীরে ধীরে সকাল হতেই সূর্যের আলোতে পাল্টে যাচ্ছে প্রকৃতির চেহারা। দিনের শুরুতেই সূর্যের আলোয় প্রচণ্ড গরমে কাহিল হয়ে উঠছে জনজীবন। আবার রাতের আবহাওয়া ধীর ধীরে শীতল হতে থাকে। নগর জীবনে গ্রামীণ কোলাহল না মিললেও পার্ক উদ্যানগুলোতে প্রাতঃভ্রমণে বের হওয়া মানুষগুলোর পা ভিজিয়ে দিচ্ছে ঘাসে জমাটবাঁধা শিশির। কথিত আছে, ভাদ্র মাসের ১৩ তারিখ শীতের জন্ম। তবে ভাদ্র আশ্বিনে পেরিয়ে কার্তিক মাসের শেষে এসে গ্রাম এলাকায় কিছুটা শীত অনুভূত হয়। সন্ধ্যার পর চারদিকের পরিবেশ কিছুটা শীতল হতে থাকে। অগ্রহায়ণের শেষে আস্তে আস্তে তাপমাত্রা কমতে থাকে। জেঁকে বসে শীত। গ্রাম বাংলায় মানুষ ষড়ঋতুর এই খেলা অনুভব করে। তবে শহুরে পরিবেশ ভিন্ন।

চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমদ দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘দিনে গরম, রাতে ঠাণ্ডা অনুভূত হওয়া শরৎকালের বৈশিষ্ট্য। এসময়ে আবহাওয়া পরিবর্তন জনিত নানা রোগব্যাধি হয়।’ তিনি বলেন, ‘এখন শীতের কুয়াশা পড়ছে তেমনটি বলার সুযোগ নেই। কারণ অক্টোবর মাসে নিম্নচাপের প্রভাব থাকে। এতে বৃষ্টিবাদলের সম্ভাবনা থাকে। অক্টোবর চলে গেলে শীতের প্রভাব শুরু হয়। এখন হয়তো হালকা কুয়াশা পড়ছে।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধজাহালমকে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ
পরবর্তী নিবন্ধচল্লিশ বছর পর রেলে আধুনিক লাগেজ ভ্যান