শিরোপা জিতে তৃপ্ত ক্রিকেট চেয়ারম্যান জামিল আবাহনী দিল অনেক ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ১৪ মার্চ, ২০২৩ at ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ

তখনো বিকেল। সূর্যের আলো তখনো প্রচণ্ড। আর সে আলোতেই আতশবাজির উৎসব শুরু হয়ে গেছে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে। কেন সেটা স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকরা বুঝেই গেছেন। কারণ ততক্ষণে নিশ্চিত হয়ে গেছে প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর শিরোপা। আবাহনীর ক্রিকেট চেয়ারম্যানকে ঘিরে দলের খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ এবং কর্মকর্তাদের উল্লাস চলছেই। দুই ম্যাচ হাতে রেখে শিরোপা জিততে পারার আনন্দ সবার মাঝে। সংগত কারণে অন্য সবার মত নিজেও উচ্ছসিত ক্লাবের ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান গওহর সিরাজ জামিল। ক্রিকেট অন্তপ্রাণ এই মানুষটির দক্ষ পরিচালনায় টানা দ্বিতীয়বার লিগ শিরোপা জিতল আবাহনী। তাই এই জয়ে যেমন উচ্ছসিত তেমনি এই শিরোপা জয়ের মাধ্যমে যেন নানা ষড়যন্ত্রের জবাবও দিল আবাহনী।

গতকালের ম্যাচে আবাহনীর পক্ষে খেলার কথা ছিল জাতীয় দলের তারকা অল রাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের। সে হিসেবে তিনি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দলের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে চট্টগ্রাম এসেছিলেন। কিন্তু মাঝরাতে বিসিবির এক পরিচালক তাকে ফোন দিয়ে এই ম্যাচে মাঠে নামতে নিষেধ করেন। সৈকতের কোন কথাই শুনতে চাননি ঐ পরিচালক। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই সৈকতকে ছাড়াই মাঠে নামতে হয়েছে আবাহনীকে। যা দলটির জন্য বড় ধাক্কা বলে করছেন কর্মকর্তারা। তাছাড়াও নানামুখি ষড়যন্ত্রের কমতি ছিলনা। তবে সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আবাহনীই চ্যাম্পিয়ন। ঠিক একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল গত আসরে এফএমসি স্পোর্টসের বিপক্ষে। সেবার একজন ক্রিকেটারকে রাতে রেজিস্ট্রেশন দিয়ে সকালে মাঠে নামতে দেওয়া হয়নি। পরে এফএমসি খেলতে অস্বীকৃতি জানালে রাতে সভা ডেকে তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়। গতকালও হয়তো তেমনটি করতে চেয়েছিল ষড়যন্ত্রকারীরা আবাহনীর বিপক্ষে। তেমনটি বলছেন দলটির কর্মকর্তারা। তবে সে পথে না হেঁটে একেবারে বীরের মত ম্যাচ জিতে শিরোপাও জিতে নিল আবাহনী। আর তাতেই যেন বেশি তৃপ্ত আবাহনীর ক্রিকেট চেয়ারম্যান। এবারের লিগে আবাহনী চেয়ারম্যানের প্রতিষ্ঠিত সিরাজ ফোর এইচ স্পোর্টস একাডেমির ক্রিকেটাররা ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলেছে।

নিজের একাডেমি থেকে উঠে আসা এসব ক্রিকেটারের পারফরম্যান্স যেন বাড়তি আনন্দ দিচ্ছে তাকে। গতকাল শিরোপা জয়ের পর জামিল বলেন এমন শিরোপা জিততে পেরে তিনি দারুণ আনন্দিত। বিশেষ করে লিগ শুরু অনেক আগে থেকেই তারা পরিকল্পনা করে দল নিয়ে। আর সেভাবে দল পরিচালনা করে। সে পল পেয়েছে তার দল। তিনি বলেন নিজেদের একাডেমি থেকে উঠে আসা ক্রিকেটারদের নিয়ে তাদের রয়েছে ভিন্ন পরিকল্পনা। কোন ক্রিকেটার ঢাকায় প্রথম বিভাগ খেলবে, কোন ক্রিকেটার দ্বিতীয় বিভাগ খেলবে সেটাও নির্ধারণ করে তারা। তিনি জানান সবশেষ লক্ষ্য হচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ এবং জাতীয় দলেও খেলবে তাদের ক্রিকেটাররা। তিনি বলেন তাদের একাডেমিতে এরপর আরো একাধিক ব্যাচ রয়েছে যারা আগামীতে উঠে আসবে। আর তারাই এই পরিসরে খেলবে। দলকে সাফল্য এনে দেবে।

তিনি বলেন নিজেদের ক্রিকেটার দিয়ে খেলতে পারাটা অনেক গৌরবের। আর সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে তার একাডেমি। তিনি বলেন এই সাফল্য শেষ কথা নয়। সামনে অনেক দুর যেতে চায় তার দল এবং তার একাডেমি। যাতে উপকৃত হবে দেশের ক্রিকেট, চট্টগ্রামের ক্রিকেট।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকোয়ালিটি স্কুল এবং বন্দর স্পোর্টস কমপ্লেক্স (লাল) জয়ী
পরবর্তী নিবন্ধদুই ম্যাচ হাতে রেখে চ্যাম্পিয়ন আবাহনী