বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হওয়ার সাথে সাথে শিক্ষা সফর বা বনভোজনের আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে যা মোটেও সাধুবাদ পাওয়ার মতো নয়। শিখন ঘাটতি পূরণে মনোযোগ না দিয়ে শিক্ষা সফর আয়োজন কতোটা যৌক্তিক তা সত্যিই বোধগম্য নয়। এছাড়া সংবাদ পত্রের পাতা খুললেই যেখানে বিভিন্ন দুর্ঘটনার খবর নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে সেখানে শিক্ষা সফর বা বনভোজনের নামে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ ধরনের আয়োজন কতোটা প্রয়োজনীয় বা যৌক্তিক এ প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। এধরণের আয়োজনে যেসকল প্রতিষ্ঠান ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তাদের কাছে আমার প্রশ্ন শিক্ষা সফর বা বনভোজনে গিয়ে আমাদের সন্তানদের জীবনে যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে তবে এর দায় দায়িত্ব কে বহন করবে? না কেবল দুঃখ প্রকাশের মাধ্যমেই আপনারা আপনাদের দায়িত্ব শেষ করবেন?
বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষা সফর বা বনভোজনের আয়োজন না করে শিখনে মনোযোগ দেয়ার এবং আমাদের সন্তানদের মাতৃ ও পিতৃস্নেহের ছায়ায় বেড়ে ওঠার সুযোগ দিন, মনে রাখবেন প্রতিটি পিতা-মাতার কাছে তার সন্তান এর জীবন অমূল্য। সাময়িক আনন্দ বা কিছু অর্থের লোভে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়ার অনুরোধ রইলো।
মাহবুবুর রশিদ
ঈদগাঁ কাঁচারাস্তা
চট্টগ্রাম।