১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত কতটুকু ফলপ্রসূ হবে তা নির্ভর করছে মূলত শিক্ষার্থীদের সচেতনতা এবং সতর্কতার উপরেই। সাধারণ সময়ের মতো এলোমেলোভাবে চলাফেরা করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। দীর্ঘ একটা সময়ের পর শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফেরা নিতান্তই আনন্দের এবং পাশাপাশি আবেগের সংবাদ। তবে সেই আনন্দ এবং আবেগ যেনো পরবর্তীতে অসুস্থতার ফলে শিক্ষাঙ্গনে আসা বন্ধ হয়ে যাবার কারণ না হয়। সেদিকে খেয়াল রাখাটা জরুরি। প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে অবশ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কয়েক দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দেখার বিষয় হলো তা কতটুকু কার্যকর করা হয়! নির্দেশনা কার্যকর করতে প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষার্থীদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। হাতে হাত মেলানো, কোলাকুলি করা এবারের যাত্রায় এড়িয়ে চলার বিকল্প নেই। মাস্ক পরিধান করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরা থেকে শুরু করে স্কুল কলেজে প্রবেশ করা এবং সতর্কতার সাথে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে ক্লাস করতে হবে। শিক্ষাঙ্গনে কিম্বা শিক্ষাঙ্গনের বাইরে অপ্রয়োজনীয় আড্ডা অথবা বিনা প্রয়োজনে ঘোরাফেরা করা মোটেই উচিত হবে না। দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সতর্কতা জোড়দার করার জন্য নির্দিষ্ট স্থান পর পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পাশাপাশি হাত স্যানিটাইজ ব্যবস্থার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে শিক্ষার্থীদেরকে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সচেতনতামূলক প্রচারণাগুলোকে প্রতিষ্ঠানগুলোর সহ-শিক্ষামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
মোঃ খশরু, শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ , ঢাকা ।