দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার একটি দুর্গম এলাকার ইউনিয়ন ধোপাছড়ী। ইউনিয়নটির চারদিকে পাহাড়ে ঘেরা। স্বাধীনতার অর্ধশত বছরেও যে ইউনিয়ন উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। তার চেয়ে বড় দুঃখের বিষয় হলো চন্দনাইশের এই ধোপাছড়ী ইউনিয়ন ও সাতকানিয়া উপজেলার শীলঘাটা ইউনিয়নের হাজার হাজার বাসিন্দার একমাত্র আলোকবর্তিকা ধোপাছড়ী শীলঘাটা উচ্চ বিদ্যালয় নামের একটি মাত্র মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। উচ্চ বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়, প্রায় ৯’শ জন। প্রতিবছর শত শত শিক্ষার্থী বিদ্যালয় থেকে পাশ করে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। এবং ভাল ভাল প্রতিষ্ঠানে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
তবে দুঃখের বিষয় এটাই যে এমপিওভুক্ত এই বিদ্যালয়টি ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে এখনো তেমন কোন উন্নয়নের ছোঁয়া পাইনি। বর্তমানে যদিও এর চারতলা ভবন নির্মাণাধীন, কিন্তু শিক্ষক ও কর্মচারী সংকটে বিদ্যালয়টির বেহাল দশা। এমপিও পদের মোট শিক্ষক থাকার কথা ১৪ জন। সাথে কর্মচারী ৫ জন। অবাক করা বিষয় হলো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলে যেখানে ইংরেজি, বাংলা, গণিত এসব শিক্ষকের দ্বারা, সেখানে বিদ্যালয়টি উক্ত তিনজন প্রধানতম পদের শিক্ষকসহ পদার্থ-রসায়ন শিক্ষা, ইসলাম শিক্ষা, কম্পিউটার ও শারীরিক শিক্ষা মিলিয়ে মোট ৭ জন শিক্ষকের পদশূন্য বেশ দীর্ঘ সময় ধরে। এদিকে ৫ জন কর্মচারীর মধ্যে অফিস সরকারী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী ছাড়া দপ্তরি, নৈশ্যপ্রহরী এবং ল্যাব সহকারীসহ গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পদে কর্মচারী পদশূন্য হয়ে আছে।
এমতাবস্থায়, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ, শিক্ষক-শিক্ষিকামণ্ডলী ও শিক্ষার্থীদের একটাই চাওয়া শিক্ষা-কার্যক্রমকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হবার নিমিত্তে পরিস্থিতির তীব্রতা বিবেচনাপূর্বক যতদ্রুত সম্ভব বিদ্যালয়ের উল্লিখিত শূন্য পদের শিক্ষক ও কর্মচারীদের নিয়োগ দেওয়া হোক। কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টির প্রার্থনা করছি।
মো. নেজাম উদ্দিন, ধোপাছড়ী, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম।