যিনি শেখান তিনিই শিক্ষক, সে তিনি যে পর্যায়েরই হোন। ম্যাক্সিম গোর্কি ডাস্টবিনের কুকুরকেও তার শিক্ষক মানতেন। পেঠের ক্ষুধা সবারই সমান। পৃথিবীর ১২৭ ভাষায় অনুদিত গোর্কি কোন শ্রেণিকক্ষে শিক্ষালাভ করেননি। বিশ্বজোড়া পাঠশালারই ছাত্র তিনি। বাস্তবের মাটিতে শিক্ষক কে? আমরা তাদের কতটুকু চিনি! কে শিক্ষক, কে শিক্ষক নন? লাখ টাকার জোরে বা পেশিশক্তিতে গুণী ও যোগ্যকে পদদলিত করে যারা এ পেশায় আসেন তারা কি আদৌ শিক্ষক? কী শেখান তারা যারা নিজেরাই অমানবিক ও সামপ্রদায়িক! প্রকৃত শিক্ষকরা নীরবে হারিয়ে যাচ্ছেন অপমানে, অবজ্ঞায়, অবহেলায়। শিক্ষক লেবাসধারীরা না শিক্ষক, না মানুষ! গুরুমারা বিদ্যায় বড়ই পারদর্শী এরা।এরাই ঘর শত্রু বিভীষণ। এদের কোন চক্ষুলজ্জা নেই। সত্যিকার শিক্ষকই যদি না হবেন তবে কেন এ পেশায় আসা? শিক্ষকের স্থান ঈশ্বরের পরেই।এটি চাকরি নয়। এত সংকীর্ণ মন নিয়ে শিক্ষকতাকে কলুষিত করার মানে কী! তাদের যারা ইন্ধন যোগান তারাও কি মনুষ্য পদবাচ্য? তারা হারিয়ে গেছেন অমানুষের অরণ্যে। এদের রূখবে কে?সত্যের জয় হোক। শিক্ষকের জয় হোক। শিক্ষকতার জয় হোক। সুশিক্ষার জয় হোক। নিবেদিত প্রাণ শিক্ষকদের হৃদয়ের রক্তক্ষরণে, দীর্ঘশ্বাসে, বোবাকান্নায় নিপাত যাক অশিক্ষকদের বিবেকহীনতা। হাসুক বাংলাদেশ।