শাটল ট্রেন এক চলমান মৃত্যুফাঁদ, প্রতিকার চাই

| মঙ্গলবার , ১২ এপ্রিল, ২০২২ at ৭:৪১ পূর্বাহ্ণ

পৃথিবীর একমাত্র শাটল ট্রেনের ক্যাম্পাস আমাদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। চট্টগ্রাম শহর থেকে বাইশ কিলোমিটারের দূরত্বে অবস্থিত ২১০০ একরের ক্যাম্পাসের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর আবেগের সাথে মিশে আছে এই শাটল। অথচ সম্প্রতি সেই আবেগের শাটলই যেনো চলমান মৃত্যুফাঁদে রূপান্তরিত হচ্ছে। প্রায় দিনই শোনা যায় যাত্রাপথে শাটলে কেউনা কেউ ভিন্ন-ভিন্ন ঘটনাক্রমে মারাত্মকভাবে আহত হয়। বিভিন্ন সময়ে এর নিচে কাটা পরে পঙ্গুত্ব কিংবা মৃত্যুবরণ করতেও দেখা যায়। সম্প্রতি শাটলের যাত্রায় পাথর ছুঁড়ে মারার এক মর্মস্পর্শী অপচর্চা শুরু হয়েছে। চট্টগ্রামের ষোলশহর এবং ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনের মধ্যবর্তী অংশে অবস্থিত বেশকিছু কলোনি থেকে রীতিমতো পাথর ছুঁড়ে মেরে মারাত্মকভাবে আহত করা হয় শিক্ষার্থীদের। নির্দিষ্ট কিছু লোক বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে নির্জন স্থানগুলোতে দাঁড়িয়ে থাকে শাটলের অপেক্ষায়। যেইনা হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন এগোতে থাকে অমনিই এর জানালা লক্ষ্য করে শুরু হয় ঝড়ের মতো পাথর নিক্ষেপ। এতে করে মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয় জানালার পাশে বসা শিক্ষার্থীরা, ক্ষেত্রবিশেষে যাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবাও নিতে হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখন যেনো শাটলের এই যাত্রায় নিরাপদে ফিরতে পারলেই বাঁচে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ দেয়ার পর তারা অভিযান শুরু করলেও থেমে নেই পাথর ছুঁড়ে মারার এই অপচর্চা। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আরো একবার অনুরোধ থাকবে যেনো পাথর ছুঁড়ে মারার নির্দিষ্ট স্থানগুলোতে সাড়াশি অভিযান চালিয়ে এর সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হয়।

সৈয়দ মোঃ জাহেদুল ইসলাম
নৃবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

পূর্ববর্তী নিবন্ধফতেহ লোহানী : লেখক ও চলচ্চিত্রকার
পরবর্তী নিবন্ধউন্মাদনা আর হিংসা থেকে বিরত থাকব