শরতের রূপ দর্শন

পাহাড়ে পর্যটকের ভিড় বাড়ছে

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | রবিবার , ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ১০:১৩ পূর্বাহ্ণ

শরতের আকাশে সাদা মেঘের ভেলা। শরতের চিরায়ত রূপ ধরা দিয়েছে সবুজ পাহাড়ে। লকডাউনের পর খুলেছে সবকিছু। শরতের চেনা রূপ দেখতে পাহাড়ে ভিড় করছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। পর্যটকের পদচারণায় মুখর খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র। পর্যটন কেন্দ্রে অতিথি বাড়ায় খুশি ব্যবসায়ীরা। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে প্রায় ১৮শ ফুট উপরে রাঙামাটির সাজেক ভ্যালি। শরৎকালে সাজেকে মেঘ ও সবুজ পাহাড় পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে বেশি আর্কষণীয়। টানা ৫ মাস বন্ধ থাকায় সাজেকের প্রকৃতি আরো সজীব। নীল আকাশে ধরা দেয় সাদা মেঘ। পর্যটন কেন্দ্র খোলার পর সাজেকে ছুটছেন পর্যটকরা। প্রকৃতি দর্শনের পাশাপাশি দীর্ঘদিন পর ভ্রমণ করতে পারায় তারা খুশি। পাহাড় ও মেঘের সৌন্দর্যে মুগ্ধ। ১৯ আগস্ট পর্যটন কেন্দ্র খোলার পর মূলত চলতি সপ্তাহ থেকে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির সাজেক ভ্যালিতে পর্যটকের সমাগম বেড়েছে।
সম্প্রতি সাজেকে গিয়ে দেখা যায়, পর্যটকদের পদচারণায় মুখর রুইলুই, হ্যালিপেড, কংলাক পাড়াসহ সাজেকের প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্র। সাজেক পর্যটন কর্তৃপক্ষ জানায়, সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় অন্তত দুই হাজার পর্যটক সাজেক ভ্রমণে এসেছেন। সাজেকের রুইলুই ও কংলাক পাহাড়ের প্রায় দেড় শতাধিক হোটেল, রিসোর্টের সবকটি কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। সাজেকের খোয়ালবুক রিসোর্টের পরিচালক নুরুল হক নুরু বলেন, করোনার কারণে ৫ মাস বন্ধ ছিল। ওই সময় আমরা লোকসানের মুখে পড়ি। বর্তমানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রুম বুকিং নিচ্ছি। সরকারি বিধি মেনে রিসোর্টের অর্ধেক রুম বুকিং করা হচ্ছে। প্রতিটি রুমে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক পর্যটক রাখা হচ্ছে।
সাজেকে বেড়াতে আসা পর্যটক সাজেদা চৌধুরী, ইয়াসমিন ও শওকত বলেন, দীর্ঘদিন ঘরবন্দি ছিলাম। লকডাউন খুলে দেওয়ার পর পরিবারের সবাইকে নিয়ে সাজেকে বেড়াতে এসেছি। এ রকম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আগে বাংলাদেশে দেখিনি। সাজেকের পাশাপাশি খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রেও ভিড় দেখা গেছে। জেলার আলুটিলা, রিছাং ঝরনা, জেলা পরিষদ পার্ক ও আলুটিলা পযর্টন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক কোকোনাথ ত্রিপুরা বলেন, লকডাউনের পর পযর্টন কেন্দ্র খোলায় পর্যটক আসতে শুরু করেছেন। শুক্রবার ও শনিবার প্রতিদিন আলুটিলায় গড়ে পাঁচশ পর্যটক এসেছেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকের সমাগম বেশি থাকে। তবে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে পর্যটকদের প্রবেশ করতে দিচ্ছি না। খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের ইউনিট ইনচার্জ এ কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যটকের ভিড় একটু বেড়েছে। করোনা পরিস্থিতি কমলে পর্যটক আরো বাড়েবে। শহরের পঞ্চাশটির বেশি হোটেলে কম-বেশি অতিথি রয়েছেন বলে জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমুফতি ইজাহারের বিচার শুরু, আজ সাক্ষ্যগ্রহণ
পরবর্তী নিবন্ধ৯৯৯ এ ফোন করে রক্ষা পেলো দুই তরুণী