১৪ এপিবিএন পুলিশ ও কক্সবাজার জেলা পুলিশ গতকাল সোমবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ ৬ জন ও পুলিশ এসল্ট মামলার একজন আসামি আটক করেছে। গতকাল সোমবার ভোররাত সাড়ে ৩ টার দিকে মধুরছড়া পুলিশ ক্যাম্পের অধীন ক্যাম্প নং ৩ এর ব্লক নং জি-৯ পানির টাংকির পূর্ব পাশে তারা অবস্থান করছিল।
১৪ এপিবিএন অধিনায়ক (এসপি) মো নাইমুল হক জানান, সোমবার ভোররাত তিনটায় সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি যে, ক্যাম্প নং ৩ এর ব্লক নং জি-৯ পানির টাংকির পূর্ব পাশে অস্ত্রসহ ২৫/৩০ জন লোক ডাকাতি করার উদ্দেশে সমবেত হয়েছে। সংবাদ পেয়ে মধুরছড়া পুলিশ ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার শরিফুল ইসলামের (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স ও জেলা পুলিশসহ যৌথ অভিযানে রাত সাড়ে ৩ টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছামাত্র আসামিরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালে ক্যাম্প নং ৩, ব্লক নংডিড/২২ এর মৃত নূর হোসেনের ছেলে ইউনুছ (৪০), ক্যাম্প নং ১৭, ব্লক নং এইচ/১০২ এর মো. হোসেনের ছেলে মো. তাহের (২৭), ক্যাম্প নং ৫, ব্লক -ডি, সাব ব্লক নং জি/৫২ এর মৃত আমির হোসেনের ছেলে কানফুডুক (২৮), ক্যাম্প নং ১ (ইস্ট,) ব্লক নং ডি ৫ এর নুর কবিরের ছেলে মো. রফিক (৩০), ক্যাম্প নং ৬ ব্লক নং বি-১০ এর মৃত ফজলুল করিমের ছেলে আমির হোসাইন (৫৪), ক্যাম্প নং-৭, ব্লক নং ডি-৩ এর মৃত সুলতান আহমদের ছেলে মো. জাফর আলম (৩২) এবং পুলিশ এসল্ট মামলায় জড়িত থাকার কারণে আব্দুস শুকুর নামে একজনকে আটক করে। এ সময় উপস্থিত সাক্ষীদের উপস্থিতিতে এস আই আহসান হাবিব তাদের হেফাজত হতে ১টি রামদা, ৪ টি দা ও ১টি ছোরা জব্দ করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে পলাতক তাদের আরো ১৭ জন সহযোগী আসামির নাম ঠিকানা প্রকাশ করে। আসামিরা সঙ্ঘবদ্ধ বিভিন্ন দুর্বৃত্ত গ্রপের সদস্য। তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় লোকজনকে অপহরণ, ডাকাতি, চাদাঁবাজি, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। আসামিরা ঘটনাস্থলে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে স্থানে সমবেত হয়েছিল বলে জানায়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মধুরছড়া পুলিশ ক্যাম্পের এস আই আহসান হাবিব, নিজে বাদি হয়ে উখিয়া থানায় মামলা রুজু করেন বলেও জানান এসপি মো. নাইমুল হক।