আমার থমকে যাওয়া শব্দের ভান্ডার সুবোদ বালকের মতো,
তোমার সামনে মাথানত করে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে,
তোমায় একটু শুধরে দিবে বলে।
তুমি বড্ড ক্লান্ত,
তাই শিরদাঁড়া উঁচু করে দেখার মতো জোর নাই,
হয়তো দেখেও বোঝার মতো ভাষা তোমার জানা নাই।
একটু ভালোবাসার অভাবে তুমি আজ মাটির
মূর্তিটাকে তোমার প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করো।
আমি জানি তুমি বড্ড অভাবী,
তাই তোমার দৃষ্টিতে পড়া ছানি তুমি কার্পণ্যের কারণে সঞ্চিত রাখো।
তোমার চুরি করা সাহস, সে তো শুধু অদম্য পুরুষত্ব
দেখানোর তাগিদে ঝাঁপিয়ে পড়ে নারীর পর্দা নিয়ে।
মস্তিষ্কে অচল হওয়া শিরা, উপশিরাগুলো
তুমি পঙ্গু করে রেখেছো তোমার দারিদ্র দিয়ে।
এ দারিদ্র, সে শুধুই তোমার অজ্ঞতা,
তোমার সীমাহীন জানা, সে শুধুই ছত্রাকের প্রলেপ।
আমার শব্দের ভান্ডারগুলো তোমার ছত্রাকের কাছে প্রতিনিয়ত ক্ষত বিক্ষত হয়,
লজ্জায় মাথা নত হয় আমার,
তুমি দাবানলের মতো ছড়িয়ে দাও তোমার ক্রোধ।
আমার শব্দগুলো তোমার ছত্রাক বিন্যাশের উপযুক্ত বলেই
তুমি ভয় পাও,
তুমি সংকুচিত হও,
খন্ডিত হবে তোমার দাম্ভিকতা,
পরাজিত হবে তোমার বিপুলতা।
আমার শব্দগুলো রংধনুতে মিশিয়ে দিব।
তুমি সেই রংধনুর রং মেখে অনুভূতি পাল্টে নিও।
শুধরে নিও জানাটা,
মুছে ফেল ছত্রাকের প্রলেপটা।












