পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা চাই

রশীদ এনাম | বুধবার , ১৪ জুলাই, ২০২১ at ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ

করোনাকালীন সময়ে আমাদের ভুলে গেলে চলবে না ‘পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ’। করোনাকালে একটা ভালো দিক হচ্ছে পরিবর্তন এবং সচেতনতা। আমরা কিন্তু পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বিশেষ করে হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার করার ব্যাপারে সবাই এখন অনেক সচেতন। তবুও রয়ে গেছে আমাদের চিরাচরিত কিছু বদ-অভ্যাস। আসছে কোরবানী ঈদ। প্রতিবছর কিন্তু বলা হয়, যত্র তত্র পশুর বর্জ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলবেন না। কে শোনে কার কথা। তখন সব দোষ হরিজনদের, বাসা বাড়ির কাজের বুয়া-লোকদের। পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনের চৌদ্দগোষ্ঠি উদ্ধার করে ফেলি। কোরবানী ঈদে আমাদের প্রত্যেকের উচিত পশু কোরবানী দেয়ার সাথে সাথে, নিজ দায়িত্বে বাড়ির উঠোন বা বাড়ির লনে সম্মিলিতভাবে পরিষ্কার করা। বর্জ্যগুলো মাটিতে পুঁতে ফেলা। মাটিতে পুঁতে ফেললে কিন্তু মাটির উর্বরতা শক্তিও বাড়ে যেটা গাছের জন্য জৈব সার হিসেবে উপকারী। মাটিতে পুঁতার ব্যবস্থা না থাকলে বর্জ্যগুলোকে চটের বস্তায় বা থলেতে ভরে থলের মুখ বেঁধে ডাস্টবিনে বা একটা নির্দিষ্ট স্থানে রেখে পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন-র কাউন্সিলর বা ইউপি সদস্যদেরকে বর্জ্য পরিচ্ছনের বিষয়টা জানাতে পারেন। আমরা তা না করে বর্জ্যগুলো বাড়ির সামনে কিংবা রাস্তার পাশে ফেলে দ্রুত সরে যায়। অনেকে আবার কর্ম সারে পুকুরের পানিতে নালা-নর্দমায়। এটা কিন্তু মারাত্মক অপরাধ। পরিবেশের জন্য হুমকিও বটে। আপনি কি জানেন, আপনার পশুর বর্জ্যটা পঁচে গন্ধে মশা মাছি সহ বিভিন্ন রোগ জিবাণু ছড়ায় যা পরিবেশের এবং শিশুদের মারাত্মকভাবে ক্ষতির কারণ হয়। পরিবেশের ক্ষতি হওয়া মানে পরিবারের বাড়ি তথা সমাজের ক্ষতি হওয়া। সবার আগে পরিবেশ বাঁচাতে হবে। আসুন আমাদের বদ-অভ্যাসগুলো বদলে ফেলি। আগামীর প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য চির সবুজের স্বর্গভূমি গড়ি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভয়ঙ্কর রূপ ডেল্টা ভেরিয়েন্ট, সতর্কতা প্রয়োজন
পরবর্তী নিবন্ধশব্দ নয় অনুভূতি