‘শনিবার বিকেল’ মুক্তির দাবি ডিরেক্টরস গিল্ডের

| সোমবার , ২৯ আগস্ট, ২০২২ at ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ

তিন বছরের বেশি সময় ধরে সেন্সর ছাড়পত্র পাচ্ছে না মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘শনিবার বিকেল’। গতকাল রোববার এই বিষয়ে একটি প্রতিবাদলিপি প্রকাশ করেছে টেলিভিশন নাটকের নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড। এতে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিস্ময় প্রকাশ করে বলা হয়, তিন বছরের বেশি সময় ধরে ‘শনিবার বিকেল’ সেন্সর ছাড়পত্র পাচ্ছে না, এটা মুক্তচিন্তার জন্য সবচেয়ে বড় বাঁধা। সেন্সর বোর্ড এই সিনেমাটিকে সেন্সর ছাড়পত্র কেন দিচ্ছে না, তা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। খবর বাংলানিউজের।
প্রতিবাদপত্রে আরো জানানো হয়, প্রায় ধ্বংস হতে যাওয়া সিনেমা যে কয়েকজন পরিচালক এখনও আশার আলো দেখাচ্ছে, যে ক’জন পরিচালক আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলা চলচ্চিত্রকে বিশেষভাবে পরিচয় করাতে সক্ষম হয়েছে, তাদের মধ্যে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী অন্যতম। তার প্রায় সব সিনেমা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবগুলোতে গুরুত্বের সঙ্গে প্রদর্শন করা হয়। অনেক সিনেমা পুরস্কৃত হয়েছে, যা আমাদের জন্য গর্বের।
সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে ‘শনিবার বিকেল’ মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ৪১তম আসরে রাশান ফেডারেশন অব ফিল্ম ক্রিটিকস জুরি পুরস্কার এবং কমেরসান্ত পুরস্কারসহ অনেক উৎসবে পুরস্কৃত ও প্রশংসিত হয়। এছাড়া বুসান ও সিডনিসহ অনেক উৎসবের অফিসিয়াল সিলেকশনে স্থান পায় সিনেমাটি। এতে যোগ করা হয়, ডিরেক্টরস গিল্ড চায়, বাংলাদেশেও ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমাটি দেখানো হোক। বাংলা সিনেমার উন্নতির ধারা অব্যাহত রাখার জন্য ‘শনিবার বিকেল’র সেন্সর ছাড়পত্র না দেওয়ায় প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি বর্তমান সেন্সর আইনের পরিবর্তে সেন্সর গ্রেডেশন পদ্ধতি চালুর দাবি জানাচ্ছি।
২০১৯ সালে সেন্সর বোর্ডের সনদ পাওয়ার সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেও এখন পর্যন্ত সেন্সর ছাড়পত্র পায়নি ‘শনিবার বিকেল’। সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ১২টি দেশের স্বনামধন্য অভিনেতারা। যার মধ্যে আছেন ফিলিস্তিনের ইয়াদ হুরানি, ইউরোপের এলি পুসো, সেলিনা ব্ল্যাক, বাংলাদেশের মামুনুর রশীদ, জাহিদ হাসান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, ভারতের পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাপড়ির ‘ঘাস ফড়িংয়ের বিকেল’
পরবর্তী নিবন্ধমারা গেছেন চলচ্চিত্র অভিনেতা আব্দুল্লাহ সাকী