লড়ে যাওয়ার অঙ্গীকার মারিউপোলে আটকা ইউক্রেনীয় যোদ্ধার

| শুক্রবার , ২৯ এপ্রিল, ২০২২ at ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ

 

মারিউপোলের ইস্পাত কারখানায় থাকা এক ইউক্রেনীয় যোদ্ধা বলেছেন, যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ তার বাহিনী লড়বে। রাশিয়ার ‘মধ্যযুগীয়’ অবরোধে আটকা পড়া বেসামরিক ও সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার উপায় বের করতে বিশ্বনেতাদের অনুরোধও করেছেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।

ইউক্রেনের উগ্র ডানপন্থি আজভ রেজিমেন্টের ডেপুটি কমান্ডার সভিয়াতোস্লাভ পালামার এক বার্তা সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ অনুরোধ করেন। ৩৯ বছর বয়সী পালামার সাক্ষাৎকার দিয়েছেন আজভস্তাল ইস্পাত কারখানার ভেতর থেকে, যেটি বন্দরনগরী মারিউপোলের ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের শেষ দূর্গ হিসেবে টিকে আছে। ওই কারখানা প্রাঙ্গণ ও এর নিচের ভূগর্ভস্থ টানেলেই এখন ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা আছেন। ‘যতক্ষণ আমরা এখানে আছি এবং লড়ছি, ততক্ষণ পর্যন্ত শহরটি তাদের (রুশ বাহিনী) নয়, বলেছেন পালামার।

তিনি জানান, রুশ বাহিনীর সঙ্গে তাদের তীব্র লড়াই চলছে এবং তাদের ওপর বোমাবর্ষণ অব্যাহত আছে। কৌশল প্রতিনিয়তই পাল্টাচ্ছে। তাদের কৌশল হচ্ছে মধ্যযুগীয় কায়দায় অবরোধ করে রাখা। আমাদেরকে চারদিক থেকে ঘিরে রাখা হয়েছে। আমাদের প্রতিরোধ লাইন ভাঙতে বিপুল সংখ্যক সেনা পাঠাচ্ছে না তারা, বিমান হামলা চালাচ্ছে। পালামার ইউক্রেনীয় বাহিনীর কৌশল সম্বন্ধে সুনির্দিষ্ট কিছু বলেননি, কেননা তা ‘শত্রুপক্ষের’ সুবিধা করে দিতে পারে। তাদের কাছে এখন কী পরিমাণ খাবার ও গোলাবারুদ আছে, তা না বললেও ভেতরে এখনও কয়েকশ ইউক্রেনীয় যোদ্ধা অবস্থান করছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। বন্দি হওয়ার উপায় নেই জানিয়ে তিনি বলেন, বন্দি অবস্থাতেই হত্যা করা হবে, পঙ্গু করে দেওয়া হবে, এজন্যই আমরা তৃতীয় কোনো পক্ষের প্রস্তাব করছি, যারা আলোচনার মাধ্যমে আজভস্তাল থেকে আমাদের সরে যাওয়ার নিশ্চয়তা দিতে পারবে। তৃতীয় পক্ষ হিসেবে তিনি তুরস্ক বা ইসরায়েলের নামও প্রস্তাব করেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজ্বালানির জন্য রাশিয়ার সঙ্গে গোপনে বোঝাপড়া!
পরবর্তী নিবন্ধইউক্রেনে বিদেশি হস্তক্ষেপ হলে বিদ্যুৎ গতিতে জবাব